আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৈভব সূর্যবংশী নিশ্চয় চেমসফোর্ড টেস্ট ভুলে যেতে চাইবেন! ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ ও ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের টেস্ট ম্যাচ চলছে। সেই টেস্টের চতুর্থ দিনে সূর্যবংশী প্রথম বলেই ফিরে গেলেন খাতা না খুলে।
সূর্যবংশী মানেই রেকর্ড আর রেকর্ড। আইপিএলের নিলামে তিনি কোটিপতি হন। ১৪ বছরের বিস্ময় কিশোর। আইপিলের ইতিহাসে প্রথম ভারতীয় হিসেবে দ্রুততম শতরান করেছে বৈভব সূর্যবংশী। গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে ৩৫ বল শতরান। ৩৮ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলেছে বৈভব। ইনিংসে ৭টি চার ও ১১টি ছয় ছিল।
ভারতীয়দের মধ্যে আইপিএলে এর আগে দ্রুততম শতরানের নজির ছিল ইউসুফ পাঠানের। ৩৭ বলে শতরান করেছিলেন ইউসুফ। ২০১০ সালে। তখন তিনি ছিলেন রাজস্থানে। আর শতরান করেছিলেন মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: 'যেখানে বেশিরভাগ সময় ক্রিকেট খেললাম, তারাই দিল না স্বীকৃতি', অভিমানী ইঞ্জিনিয়ার
আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে শতরান করার নজিরও গড়ে ফেলেছে সূর্যবংশী। ১৪ বছর ৩২ দিন বয়সে শতরান করেছে বৈভব। সে ভেঙেছে মণীশ পাণ্ডের রেকর্ড। ১৯ বছর ২৫৩ দিন বয়সে শতরান করেছিলেন মণীশ। ২০০৯ সালে। মণীশ তখন খেলতেন আরসিবিতে। আর রেকর্ড করেছিলেন ডেকান চার্জার্সের বিরুদ্ধে।
এহেন সূর্যবংশী টেস্টের প্রথম বলেই পুল মারতে গিয়েছিলেন। বোলার ছিলেন ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স গ্রিন। ব্যাট-বলে ঠিকঠাক হয়নি। বল তাঁর ব্যাটের কাণায় লেগে উইকেট ভেঙে দেয়। সহজাত আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে ফিরতে হয় সূর্যবংশীকে।
তিনি কোনও রান না করে ফিরে যাওয়ায় চাপ বাড়ে ভারতের যুব দলের উপরে। তবে ভারত অধিনায়ক আয়ুশ মাত্রে রুখে দাঁড়ান। পালটা মারের খেলা শুরু করেন তিনি। আইপিএলেও মাত্রেকে মারমুখী ব্যাটিং করতে দেখা গিয়েছিল। এদিন তিনি সেঞ্চুরি হাঁকান।
বল হাতেও তিনি রেকর্ড গড়েন। বাঁ হাতে স্পিন বল করেন সূর্যবংশী। তিনি পার্টনারশিপ ভাঙতে পারেন। ইংল্যান্ডের তৃতীয় উইকেট জুটি কিছুতেই ভাঙতে পারছিল না ভারত। সেই সময়ে যুব দলের অধিনায়ক আয়ুশ মাত্রে বল তুলে দেন বৈভব সূর্যবংশীর হাতে। যে কাজে সূর্যবংশীর হাতে বল তুলে দেওয়া হয়েছিল, ১৪ বছরের তারকা সেই কাজে সফল।

সূর্যবংশীর তৃতীয় ওভারের শেষ বলটা ছিল লো ফুল টস। ইংল্যান্ডের হামজা শেখ সেই বল মাঠের বাইরে ফেলতে যান। শেষ পর্যন্ত লং অফে তিনি ক্যাচ দেন। বৈভব ভেঙে দেন হামজা ও রকি ফ্লিনটফের ১৫৪ রানের জুটি। সেঞ্চুরি থেকে ১৬ রান দূরে থেমে যান হামজা।
সূর্যবংশী এখন যুব টেস্টে ভারতের সর্বকনিষ্ঠ উইকেটশিকারী। ১৪ বছর ১০৭ দিনে তিনি এই নজির গড়লেন। যুব টেস্টে ভারতের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে উইকেট পাওয়ার রেকর্ড ছিল মনীষীর। ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে তিরুঅনন্তপুরমে ১৫ বছর ১১৫ দিনে প্রথম উইকেট নিয়েছিলেন। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ৫৮ রানে ৫টি ও ৩০ রানে ২টি উইকেট নিয়েছিলেন দুই ইনিংসে। মার্কো ইয়ানসেন ছিলেন ভারতীয় বোলারের শিকার।
যুব টেস্টে সবচেয়ে কম বয়সে উইকেট পাওয়ার রেকর্ড অবশ্য সূর্যবংশীর নয়। এই রেকর্ডের মালিক পাকিস্তানের মাহমুদ মালিক। ১৯৯৪ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৩ বছর ২৪১ দিনে তিনি উইকেট নিয়েছিলেন। তার পরে পাকিস্তান দলে জায়গা হয়নি কখনও মাহমুদ মালিকের।
আরও পড়ুন: লর্ডসের পরে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডেও রাহুলের নতুন নজির, কী সেই কীর্তি?
