সারি সারি দাঁড়িয়ে নৌকা আর তার একটিতে দাঁড়িয়ে আপন খেয়ালে বাঁশি বাজিয়ে চলেছেন গৌরাঙ্গ। কখনও এক এক ঝলকে দেখা গেল  লক্ষ্মীপ্রিয়ার সঙ্গে নিমাইয়ের বিয়ের পর গৃহপ্রবেশের দৃশ্য। তাঁদের প্রেমের মুহূর্তের এক আধ পশলা মুহূর্ত। ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’-এর ট্রেলার শুরু হচ্ছে ঠিক এভাবেই। বৃহস্পতিবার মুক্তি পেল সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত এই বহু প্রতীক্ষিত ছবির ট্রেলার।    

 


ট্রেলার খানিক এগোতেই শোনা যায় ‘নটি বিনোদিনী’ শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের কণ্ঠস্বর। পাশে তখন দাঁড়িয়ে ‘নাট্যাচার্য গিরিশ ঘোষ’ রূপে ব্রাত্য বসু। ধীরে ধীরে এক সুরে বাঁধা পড়তে থাকে  নিমাই সন্ন্যাসীর জীবনের নানান মুহূর্তের সঙ্গে মঞ্চে নিমাই সন্ন্যাসী হিসেবে হয়ে ওঠা ‘নটী বিনোদিনী’র যাত্রাপথ। তাতে ধরা দেন ‘রামকৃষ্ণ পরমহংস’-ও। ঠিক যেমন নিমাই সন্ন্যাসীর পাশে ‘নিত্যানন্দ’ রূপে ধরা দিয়েছেন যীশু সেনগুপ্ত! 

 

ছবির ট্রেলারে ধরা দিয়েছেন ইশা আর ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। এক ছবি পরিচালকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে ইশাকে, যে মহাপ্রভুর অন্তর্ধান নিয়ে বহু গবেষণা করে একটি ছবি তৈরিতে মগ্ন। আর তাঁর সেই ছবিতেই গৌরাঙ্গ সেজেছেন অভিনেতা পার্থ ওরফে ইন্দ্রনীল।  

 

 

ট্রেলার যত এগোয় তত স্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠে, এই ছবি জুড়ে সন্ধান চলেছে সেই অমোঘ সত্যের - কোথায় গেল শ্রী চৈতন্যের নশ্বর দেহের? কী হয়েছিল শেষপর্যন্ত তাঁর? একাধিক জনপ্রিয় লোককথা অনুযায়ী চৈতন্য অন্তর্ধানের অন্যতম কারণ হিসেবে যা বলা যায়, মহাপ্রভু নাকি সমুদ্রে বিলীন হয়ে গিয়েছিলেন - সেটাকেই কি মান্যতা দেবে এই ছবি না কি থাকছে অন্য কোনও চমকও? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজবে এই ছবি। তবে ৫০০ বছরের এই সময়কাল জুড়ে মহাপ্রভুকে নিয়ে যে যে তথ্য পাওয়া যায়, আর তাঁকে ঘিরে যে যে রহস্য সমাধান হয়নি তা-ও যে খানিক খুঁড়ে দেখা হয়েছে এই ছবিতে, পাওয়া গেল সেই ইঙ্গিতও।  

 

 


সব মিলিয়ে 'লহ গৌরাঙ্গের নাম রে…' ট্রেলার যে দারুণ চমক আর কঠিন সব বিতর্কিত প্রশ্নে ঠাসা তা স্পষ্ট। আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড়পর্দায় যে মিলতে পারে সব প্রশ্নের উত্তর, আপাতত সেই অপেক্ষা নিয়েই দিন গোনা শুরু হল দর্শকের।