আজকাল ওয়েবডেস্ক: মদ্যপান করে শববাহী গাড়ির মৃতদেহ বহন করার জায়গায় শুয়ে ছবি তুলেছিলেন গাড়ির চালক এবং খালাসি। নেশার চোটে সেই ছবি পোস্ট করার পরেই দ্রুত তা ভাইরাল হয়ে যায়। চোখে পড়তেই পদক্ষেপ করে উত্তরপাড়া পুরসভা। ডিউটিরত অবস্থায় মদ খেয়ে এমন কাণ্ড করায় দু’জনকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছবি ভাইরাল হতেই শাসক দলকে তুমিল কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা।
জানা গিয়েছে, উত্তরপাড়া পুরসভা পরিচালিত মহামায়া শিশু ও মাতৃমঙ্গল কেন্দ্রের শববাহী গাড়িটি বুধবার রাতে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে গিয়েছিল মৃতদেহ আনতে। সময় পার হয়ে গেলেও সেই গাড়ি হাসপাতালে ফেরেনি। কিছু ক্ষণ পরেই সামাজিক মাধ্যমে সেই শববাহী গাড়ির ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গাড়ির চালক তাঁর সিটে উপুর হয়ে পড়ে আছেন। গাড়ির চাবি, পুরসভার সচিত্র পরিচয়পত্র গাড়ির সিটে পড়ে রয়েছে। আর তাঁর খালাসি যেই ট্রে-তে করে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় সেই ট্রের মধ্যে শুয়ে আছেন। দু’জনেই বেহুঁশ। ডাকলেও কোনও সাড়া নেই।
এই ভিডিও ভাইরাল হতেই সরব হয়েছে বিরোধীরা। বাম-বিজেপি এক যোগে পুরসভার এবং হাসপাতাল পরিচালকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। চারিদিকে নানা রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে তারপরেও হুঁশ নেই। যাঁরা অ্যাম্বুলেন্স চালান বা শববাহী গাড়ি চালান তারাই যদি এই ভাবে নেশা করে বেহুঁশ হয়ে পরে থাকেন তাহলে কী হবে?
বিজেপি নেতা পঙ্কজ রায় বলেন, “এখন তো রাজ্য সরকার মদেই চলছে। আর উত্তরপাড়ার বিধায়ক সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসককে হুমকি দিচ্ছেন। এই তো চলছে।“
আরও পড়ুন: মহিলা সেজে এক হাজার পুরুষের সঙ্গে মিলন! লুকিয়ে ভিডিও করে অনলাইনে পোস্ট, যা হাল হল ওই ব্যক্তির
মহামায়া শিশু ও মাতৃমঙ্গল কেন্দ্রের ম্যানেজার সুমনা মহালানবিশ বলেন, “আমরা বিষয়টা জানতে পেরেছি। আমাদের কাছে খুবই বেদনাদায়ক। কখনওই আশা করিনি। কালকে একজন মারা গিয়েছিলেন শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে গাড়িটি গিয়েছিল দেহ আনতে। তারপর সম্ভবত শ্মশানে গিয়েছিল। গাড়িটিকে ভিতরে না ঢুকিয়ে অন ডিউটি অবস্থায় ইউনিফর্ম পড়ে এ ধরণের কাণ্ড ঘটিয়েছেন। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দু’জনকেই বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওঁরা আজ থেকেই কাজে যোগ দিচ্ছেন না। অনেকটা রাত হয়ে গিয়েছিল তখনও গাড়িটি ঢুকছে না তখনই জানতে পারলাম অন ডিউটি অবস্থায় মদ্যপান করেছেন।“
