আজকাল ওয়েবডেস্কঃ আজকের দিনে ত্বকের যত্নে ফেস সিরাম সকলের কাছেই পরিচিত। জেল, তেল এবং জল-ভিত্তিক ফর্মুলার মতো বিভিন্ন আকারের সিরামগুলো হালকা দ্রুত ত্বকে শোষণ হয়ে যায়। বর্তমানে ভিটামিন সি, রেটিনল, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড এবং নিয়াসিনামাইড সিরাম সমাজ মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

ফেস সিরামের কাজ কী 

ফেস সিরাম ত্বককে গভীরভাবে হাইড্রেট এবং পুষ্টি জোগায়। ভিটামিন সি এবং নিয়াসিনামাইড সিরাম ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে এবং দাগছোপ কমাতে সাহায্য করে। ত্বককে মসৃণ, নরম এবং দৃঢ় করে তোলে ফেস সিরাম। ত্বকের ধরণ এবং নির্দিষ্ট চাহিদা বুঝে সিরাম বাছাই করা উচিত। 

কোন ত্বকের জন্য কী ধরনের সিরাম

* শুষ্ক ত্বকের জন্য হাইড্রেটিং সিরাম উপযুক্ত। শুষ্ক ত্বকে হাইলুরোনিক অ্যাসিড বা ভিটামিন ই-যুক্ত সিরাম হাইড্রেশন বাড়াতে সবচেয়ে ভাল কাজ করে।
* কালো দাগ কমাতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে ভিটামিন সি সিরাম এবং ত্বকে দাগ এবং সূক্ষ্ম রেখা প্রতিরোধে অ্যান্টি-এজিং সিরাম ব্যবহার করা উচিত। সেক্ষেত্রে ত্বক সংবেদনশীল হলে কম সুগন্ধি এবং হালকা উপাদানযুক্ত সিরাম বেছে নিন।
* তৈলাক্ত বা ব্রণ-প্রবণ ত্বকের জন্য ব্রণ নিয়ন্ত্রণ সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য স্যালিসিলিক অ্যাসিডযুক্ত তৈলাক্ত নয় এমন সিরাম অতিরিক্ত তেল এবং ব্রণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

সিরাম ও ময়েশ্চারাইজারের মধ্যে পার্থক্য

ত্বকের যত্নে সিরাম এবং ময়েশ্চারাইজার দুইই অপরিহার্য, তবে তাদের ভূমিকা ভিন্ন। ময়েশ্চারাইজার মূলত ত্বকের উপরের স্তরে কাজ করে আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য। অন্যদিকে, সিরামের ঘনত্ব পাতলা এবং ত্বকের কোষের গভীরে প্রবেশ করে। ফলে ত্বকের নির্দিষ্ট সমস্যাগুলিকে নিঁখুতভাবে সমাধান করতে পারে। 

সিরাম ব্যবহারের নিয়ম 

*হালকা ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।
*যদি টোনার ব্যবহার করেন, তাহলে পরবর্তীতে সেটি ব্যবহার করুন।
*আঙুলের ডগায় ২ থেকে ৩ ফোঁটা সিরাম নিয়ে আলতো করে মুখে লাগান এবং এটি শুষে নিতে দিন।
*এরপর ময়েশ্চারাইজার লাগান।
*দিনের বেলায়, ত্বকের সুরক্ষার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
*রাতে, সিরাম এবং ময়েশ্চারাইজার বা নাইট ক্রিম লাগাতে পারেন।