আজকাল ওয়েবডেস্ক: গুজরাটের জামনগরে অবৈধভাবে নির্মিত এক ধর্মীয় স্থানের ভিতরে প্রবেশ করতেই চোখ ছানাবড়া পুলিশ প্রশাসনের। ওই ধর্মীয় স্থানের ভিতরে রয়েছে বিলাসবহুল সুইমিং পুল, বাথটব এবং বিশালাকৃতির ঘর। শনিবার প্রশাসনের অভিযান চলাকালীন ওই ধর্মীয় স্থানের পাশাপাশি আরও কয়েকশো অবৈধভাবে নির্মিত বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

সূত্রের খবর, এই ধর্মীয় স্থানটি তৈরি করা হয়েছিল বাচু নগর এক্সটেনশন এলাকায়। সেখানকার অন্তত ২৯৪টি বাড়ি এবং চারটি ধর্মীয় স্থাপনা বেআইনিভাবে নির্মিত হয়েছে বলে জানায় পুর প্রশাসন। এইসব নির্মাণ প্রায় ২০–২৫ বছর আগে শুরু হয় এবং তৎকালীন বাসিন্দারা সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। জানা গিয়েছে, এই অবৈধভাবে তৈরি হওয়া বাড়িগুলির কারণে প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপর। বেশ কিছু নির্মাণকাজ রঙ্গমতী নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করেছে। যার ফলে বর্ষাকালে বৃষ্টির জল জমে যায় আশপাশের বসতিপাড়ায়। সূত্রের খবর, বহু বছর পর এবার পুরসভা অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু করেছে।

১২টি জেসিবি, তিনটি হিটাচি মেশিন এবং ১৩টি ট্র্যাক্টর লাগানো হয়েছে এই অভিযানে। প্রায় ১০০ জন কর্মী এই অভিযানে অংশ নিয়েছেন। জামনগরের পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট প্রেমসুখ দেলু জানান, শনিবার প্রায় ৩০০টি অবৈধ নির্মাণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রঙ্গমতী নদীর ধারে অবৈধ দখলদারি হয়েছিল। এর ফলে বর্ষাকালে জামনগরে প্রায়ই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হত। প্রায় ৮ লক্ষ বর্গফুট এলাকা মুক্ত করা হয়েছে। অনেক অপরাধীও ওই এলাকায় বাড়ি ও ফার্মহাউস বানিয়ে বসবাস করছিলেন। সেসব সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এই অভিযান ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালেও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পরিবেশ ও জনস্বার্থ রক্ষার্থেই এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।