আজকাল ওয়েবডেস্ক: পৃথিবীতে ফের ফিরতে পারে ম্যামথরা। বিজ্ঞানীদের নতুন একটি আবিষ্কার থেকে সেই ধারণাই ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। তারা এমন ইঁদুর তৈরি করেছেন যার গায়ে রয়েছে বিরাট লোম। এই ধরণের লোম সাধারণ ইঁদুরের দেহে থাকে না। এটি তৈরি করা হয়েছে পরীক্ষাগারে। তাহলে কী এদের হাত ধরেই ফিরবে প্রাচীন দৈত্য।
টেক্সাসের ডালাসে এক বিরাট আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা। তারা ল্যাবরেটরিতে তৈরি করে ফেললেন ম্যামথের কৃত্রিম জিন। সেটিকে তারা সরাসরি প্রয়োগ করলেন ইঁদুর দেহে। এরপরই দেখা গেল সেই ইঁদুরের দেহে প্রচুর লোম তৈরি হয়েছে। তারা আকারেও অনেকটা বড় হয়েছে। ফলে পৃথিবীতে ম্যামথকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার যে পরিকল্পনা বহুদিন ধরে চলছিল সেটি এবার অতি সহজেই করা যাবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এখানেই শেষ নয়। বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন পৃথিবীতে ২০২৮ সালের মধ্যেই ফিরবে ম্যামথ।
গায়ে ছিল বিরাট লোম। এই ম্যামথরা ছিল বর্তমানের হাতিদের আত্মীয়। তবে হঠাৎ করে ৪ হাজার বছর আগে তারা পৃথিবী থেকে হারিয়ে যায়। তবে তার ডিএনএ পাওয়া যায় ম্যামথেক ফসিল থেকে। তবে এটি সরাসরি হাতির দেহে প্রয়োগ করার পক্ষে ছিলেন না বিজ্ঞানীরা। তাই তারা এটিকে প্রথমে ইঁদুরের দেহে প্রয়োগ করেন। সেখান থেকে মিলল এই সাফল্য।
ফসিল থেকে পাওয়া ম্যামথের জিনের সঙ্গে আরও সাত ধরণের জিন মিশিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এরপরই তারা ফল পেলেন হাতেনাতে। বরফের দেশে বেঁচে থাকা এই প্রাণীদের ফের দেখা যাবে পৃথিবীতে। সেই কাজই এখন করতে ব্যস্ত বিজ্ঞানীরা।
তবে এই কাজটি মোটেই সহজ ছিল না। প্রথম দিকে পরীক্ষাগারে ইঁদুর এই জিনকে সহ্য করতে পারছিল না। তবে পরে ধীরে ধীরে তার দেহে এটি সহ্য হয়। এবার হারিয়ে যাওয়া ইকোসিস্টেম ফিরিয়ে নিয়ে আসার কাজটি দ্রুত করতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। তারা মনে করছেন আগামী তিন বছরের মধ্যে এই কাজকে তারা করতে পারবেন। এরপর তাদের টার্গেট হবে ডোডো পাখি এবং তাসমানিয়ান বাঘকে ফেরত আনার কাজটিও করবেন।
