
সোমবার ১৯ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পাল্টা ভারতের 'অপারেশন সিঁদুর'। তার পাল্টা পাকিস্তানের কিছু ব্যর্থ প্রচেষ্টা। পাকিস্তান জম্মু, পাঠানকোট এবং উধমপুরে ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সফলভাবে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। পাল্টা আঘাত হেনেছে ভারতও। জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাটের বেশ কয়েকটি শহরে ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়েছে। প্রশাসন সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে সতর্কতা জারি করেছে।
পাকিস্তানের প্ররোচনা এবং বৃহস্পতিবার রাত ভারতের প্রত্যাঘাত একটিই প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ কি আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে গিয়েছে। আর যদি তা-ই হয় তাহলে সেটি ঘোষণা করবেন কে?
ভারতে যুদ্ধ ঘোষণার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে থাকে। তবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের পরামর্শের ভিত্তিতে এটি প্রয়োগ করা হয়। ভারতীয় সংবিধানে অন্য কিছু দেশের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণার পদ্ধতি সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু বলা নেই। তবে, সংবিধানের ৩৫২ অনুচ্ছেদের অধীনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা হল যুদ্ধের পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সাংবিধানিক প্রক্রিয়া।
কারা কারা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত-
ভারতের রাষ্ট্রপতি: সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডার হিসেবে (অনুচ্ছেদ ৫৩(২)) রাষ্ট্রপতির যুদ্ধ ঘোষণা বা শান্তি স্থাপনের সাংবিধানিক ক্ষমতা রয়েছে। তবে, সরকারের পরামর্শের ভিত্তিতে এই ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়। সংবিধানের ৫৩ অনুচ্ছেদে অনুযায়ী, কেন্দ্রের নির্বাহী ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতেই রয়েছে। তবুও, ৭৪ অনুচ্ছেদের অধীনে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ক্যাবিনেটের সহায়তা এবং পরামর্শ অনুসারে কাজ করেন। অতএব, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক যুদ্ধ বা শান্তির যে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা কেবল মন্ত্রিসভার পরামর্শেই করা হয়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা: বাস্তবে, যুদ্ধে যাওয়ার বা শান্তি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা দ্বারা নেওয়া হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, বিদেশ মন্ত্রক এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ মন্ত্রিসভাকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করে থাকে। সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে মন্ত্রিসভা সামরিক প্রধান, গোয়েন্দা সংস্থা এবং কূটনৈতিক গোষ্ঠীর কাছে মতামত চাইতে পারে। ১৯৭৮ সালের ৪৪তম সংশোধনী আইন অনুসারে, রাষ্ট্রপতি কেবল মন্ত্রিসভার লিখিত সুপারিশের ভিত্তিতে জাতীয় জরুরি অবস্থা (যা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য) ঘোষণা করতে পারেন।
সংসদ: যদিও সংসদ সাংবিধানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণা বা পূর্ব-অনুমোদনের জন্য বাধ্য নয়। তবে প্রতিরক্ষা বাজেটের তত্ত্বাবধান এবং সামরিক কর্মকাণ্ড নিয়ে সরকারকে করার ক্ষমতা রয়েছে সংসদের। যুদ্ধ ঘোষণা নিয়ে সরকার সংসদকে অবহিত করবে এবং রাজনৈতিক ঐকমত্য অর্জন করবে। মন্ত্রিসভার পরামর্শে রাষ্ট্রপতি যুদ্ধ ঘোষণা করলে পরবর্তীতে এটি অনুমোদনের জন্য লোকসভা এবং রাজ্যসভা উভয়ের কাছেই উপস্থাপন করতে হয়।
যদি যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতেই হয়, তাহলে পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর মন্ত্রিসভা রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিত সুপারিশ করবে। এর পর রাষ্ট্রপতি ৩৫২ অনুচ্ছেদের অধীনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন। এই ঘোষণা সমগ্র দেশ বা দেশের একটি নির্দিষ্ট অংশের জন্য হতে পারে।
জরুরি অবস্থা ঘোষণা সংসদের প্রতিটি কক্ষের পেশ করতে হবে। দু'টি কক্ষে সেই প্রস্তাব দুই তৃতীয়াংশ ভোটে পাশ হয়ে গেলে এক মাসের মধ্যে জরুরি অবস্থা কার্যকর হবে।
সংসদে অনুমোদনের পর জরুরি অবস্থা ছয় মাস বলবৎ থাকে। পরিস্থিতি বিচার করে আরও ছয় মাসের জন্য বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
রাষ্ট্রপতি যে কোনও সময় জরুরি অবস্থা ঘোষণা প্রত্যাহার করতে পারেন। ৪৪তম সংশোধনী অনুযায়ী, লোকসভা যদি জরুরি অবস্থা বহাল রাখার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে রাষ্ট্রপতিকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করতে হবে।
যদিও সংবিধানে কেবল 'যুদ্ধ ঘোষণা' করার জন্য কোনও নির্দিষ্ট অনুচ্ছেদ নেই। ৩৫২ অনুচ্ছেদের অধীনে জাতীয় জরুরি অবস্থা সম্পর্কিত বিধানগুলি যুদ্ধ বা অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করা হয়।
'ভারত ধর্মশালা নয়', এক শ্রীলঙ্কার নাগরিকের এদেশে থাকার আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
'কুমিরের কান্না', কর্নেল সোফিয়াকে নিয়ে কুমন্তব্য করে শীর্ষ আদালতে ভর্ৎসিত মন্ত্রী, খারিজ ক্ষমাভিক্ষা
অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র অন্ধকারেও লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করতে সক্ষম, তাহলে কেন এখনও ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়?
ফৈয়াজ আহমেদ ফৈয়াজের গান গাওয়া ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’, নাগপুরে মামলা: ভীরা সত্যিধার স্মরণ সভায় উত্তাপ
স্বর্ণমন্দির লক্ষ্য করে পাকিস্তানের ড্রোন-ক্ষেপনাস্ত্র হামলা! কীভাবে প্রতিহত করেছিল আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা? জানাল সেনা
পুরীতে হুলস্থূল, টেবিলে বসে খাওয়া হচ্ছে প্রভু জগন্নাথের মহাপ্রসাদ! পরিবেশন করছেন খোদ সেবাইত
অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, গ্রেপ্তার করা হল অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে
পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাত তথ্য, জ্যোতির পর হরিয়ানাতেই গ্রেপ্তার আরও এক
'বিশ্ব সম্মান করে শুধু শক্তি ও সামর্থ্যকে', ভারতকে শক্তিশালীর করার বার্তা মোহন ভাগবতের
কার সঙ্গে কথা বলে সারাদিন? স্বামীর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে স্ত্রী যা করলেন
কনের গলায় মঙ্গলসূত্র পরানোর পরেই বুকে ব্যথা, বিয়ের পিঁড়িতে বসেই মৃত্যু ২৫ বছরের তরুণের
বাংলাদেশি পোশাক থেকে খাবার, স্থলবন্দর দিয়ে আর ভারতের বাজারে ঢুকবে না, ঘোষণা কেন্দ্রের
টিভির উপর মশা, মারতে গিয়েই বিপত্তি, ছোট্ট ভুলের বড় মাশুল গুনছে গোটা পরিবার
ভারত-পাক সীমান্তে গোলাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের আহাজারি, স্থায়ী পুনর্বাসনের দাবি
পাকিস্তানের হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তিতে অভিযুক্ত হরিয়ানার জ্যোতি, কে এই ইউটিউবার