আজকাল ওয়েবডেস্ক: টি-২০ ক্রিকেটের রাজা তিনি। দীর্ঘদিন একনম্বর স্থান ধরে রাখেন। এবার হঠাৎ আইপিএলে নিজের প্রথম মরশুমের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন সূর্যকুমার যাদব। ২০১১ সালে কোটিপতি লিগে হাতেখড়ি হয় মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রির। তার আগের রাতের অভিজ্ঞতা জানালেন সূর্য। জানান, অভিষেকের আগেই রাতে ঘুমোতে পারেননি তিনি। ২০১১-১২ রঞ্জি ট্রফির সময় প্রচারের আলোয় আসেন। নয় ম্যাচে ৭৫৪ রান করে মুম্বইয়ের সর্বোচ্চ স্কোরার হন। একই বছরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে সুযোগ পান। ২০১২ সালে মুম্বইয়ের হয়ে আইপিএলে অভিষেক হয়। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে পুনের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ ছিল তাঁর। অভিষেকে শূন্যতে ফেরেন। মুম্বইয়ের হয়ে একটি মাত্র ম্যাচে খেলেন সূর্য। 

পরের বছর কলকাতা নাইট রাইডার্সে যোগ দেন। মিডল অর্ডারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে যান। ২০১৪ আইপিএল জয়ে বড় ভূমিকা নেন। একটি শোতে নিজের পুরোনো অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নেন তারকা ক্রিকেটার। সূর্যকুমার বলেন, 'মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে অভিষেকের আগের রাতে আমি ঘুমোতে পারিনি। ভোর চারটে-পাঁচটায় ঘুমোতে যাই। খুব উত্তেজিত ছিলাম। ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলার আলাদা অনুভূতি। আমি শুধু সেই মুহূর্তের কথা ভাবছিলাম। উপভোগ করছিলাম। মাঠে নামা মাত্র ঘামতে শুরু করি। দারুণ লেগেছিল।' ২০১৮ সালে আবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ফেরেন সূর্য। ৫১২ রান করেন। আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। পরের দু'বছরের ধারাবাহিকতা তাঁর জন্য জাতীয় দলের দরজা খুলে দেয়। সূর্য বলেন, '২০১৮ সালে আমি ওপেন করার কথা ভাবিনি। প্রথম দুই ম্যাচে করিনি। তারপর টিম ম্যানেজমেন্ট জানায়, ওরা আমাকে ওপেনার হিসেবে দেখছে। আমি রাজি হয়ে যাই। সুযোগ কাজে লাগাই। মুম্বইয়ে সারাজীবন ক্রিকেট খেলায় ওয়াংখেড়ের পিচ এবং পরিবেশ চেনা ছিল। আমি খেলা চালিয়ে যাই। আমি ভাবিনি ৫০০ রান করে ফেলব। কারণ তার আগের মরশুমগুলোতে আমি দুশোর গণ্ডি পার করতে পারিনি।'

২০২০ জীবনের কঠিন সময়। ভাল পারফরমেন্স সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে বাদ পড়েন। দলে নিজের নাম না দেখতে পেয়ে, ২-৩ দিন কারোর সঙ্গে কথা বলেননি সূর্য। প্র্যাকটিসও করেননি। বিষয়টি মাহেলা এবং জাহিরের নজরে পড়ে। ২০২১ থেকে জীবনে নতুন সূর্যোদয় হয়। বিভিন্ন শট আবিষ্কার করেন। টি-২০ ফরম্যাটের আদর্শ ব্যাটার হয়ে ওঠেন। আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। টি-২০ বিশ্বকাপজয়ী দলের অঙ্গ ছিলেন। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট থেকে রোহিত সরে দাঁড়ানোর পর নেতৃত্বের ভার পান সূর্য।