নিজস্ব সংবাদদাতা, মুম্বই: অভিনয় হোক বা সঞ্চালনা, যে কোনও কাজে তিনি বরাবর খুঁতখুঁতে। ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’  আমির খান মানেই নতুন ভাবনা। তাঁর কম-বেশি সব ছবিই দর্শকমনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির পরিচালকেরা তাঁর সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে থাকেন। এহেন আমির খানের জীবনেও এসেছে প্রত্যাখ্যান!  

২০০৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত ছবি ‘ওমকারা’। ছবিতে  ‘ল্যাংড়া ত্যাগী’র চরিত্রে সকলকে তাক লাগিয়ে দেন সইফ আলি খান। শক্তিশালী অভিনেতা হিসাবে বলিপাড়ায় নিজেকে নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি। কিন্তু এই ছবি ঘিরে বড় আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে আমির খানের। 

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে চিত্রনাট্যকার রবিন ভট্ট জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ‘ঈশ্বর ল্যাংড়া ত্যাগী‌’ চরিত্রের জন্য আমির খানকে নির্বাচন করা হয়েছিল। আমির নিজেও খলনায়কের চরিত্রে কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন। সেই অনুযায়ী আলোচনা এগোয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বদলায় সিদ্ধান্ত। আমিরের বদলে সইফ আলি খানকে চূড়ান্ত বাছাই করা হয়।যদিও ‘ল্যাংড়া ত্যাগী’র চরিত্রের জন্য সইফও কম পরিশ্রম করেননি। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের গ্রাম্য ভাষা শেখার চ্যালেঞ্জে পুরোপুরি সফল হয়েছিলেন পতৌদি ঘরানার অভিনেতা। 

শুধু ওমকারা নয়, গতবছরের ‘লাপতা লেডিজ’-এও অভিনয় করতে চেয়েছিলেন আমির খান। পুলিশ আধিকারিকের চরিত্রে তাঁর অভিনয়ের ইচ্ছা ছিল। কিন্তু রাজি ছিলেন না স্বয়ং কিরণ রাও। তাই আমিরকে বাদ দিয়ে নির্বাচিত হন রবি কিশন।