আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক ভারতীয় রেল। প্রতিদিন প্রায় ১৩,০০০ যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। বিশ্বের যেকোনও রেলের ভাড়র তুলনায় বারতীয় রেলের ভাড়া সবচেয়ে কম। জাতীয় পরিবহন সংস্থা যাত্রীদের ৪৬ শতাংশ ছাড়ে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করে। কিন্তু আপনি কি জানেন, ভারতের সবচেয়ে সস্তা বাতানুকূল ট্রেন কোনটি? এই ট্রেন গতিতে সুপারফাস্ট রাজধানী এক্সপ্রেসের প্রতিদ্বন্দ্বী!

ভারতের সবচেয়ে সস্তা বাতানুকূল ট্রেন-

অত্যন্ত জনপ্রিয় 'গরীব রথ' হল দেশের সবচেয়ে সস্তা বাতানুকূল  ট্রেন। ভারতীয় রেল পরিচালিত অন্যান্য এসি ট্রেনের তুলনায় গরীব রথ যাত্রীদের আরামদায়ক এসি ভ্রমণের সুযোগ করে দেয়। এই ট্রেন 'গরীব মানুষের রাজধানী' নামেো পরিচিত। ২০০৬ সালে শুরু হয়েছিল গরীব রথের যাত্রা। যারা শতাব্দী বা রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো বহুমূল্যের বাতানুকূল ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারতেন না, তাদের জন্য কম খরচে গরীব রথ রয়েছে গন্তব্য়ে পৌঁছানোর জন্য।

গরীব রথ এক্সপ্রেস ২০০৬ সালের ৪ অক্টোবর বিহারের সহরসা থেকে পাঞ্জাবের অমৃতসর পর্যন্ত প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল। আজ ট্রেনটি দিল্লি-চেন্নাই, পাটনা-কলকাতা এবং দিল্লি-মুম্বইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ রুট-সহ ২৬টি ভিন্ন রুটে চলাচল করে, যা দেশের প্রধান শহরগুলিকে সংযুক্ত করে।

গরীব রথের ভাড়া-

গরীব রথ ভারতের সবচেয়ে সস্তা বাতানুকূল ট্রেন। এই ট্রেনের প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া মাত্র ৬৮ পয়সা! ফলে এটি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে পকেট-বান্ধব ট্রেন। নয়াদিল্লি-গোরখপুর রুটে থার্ড এসি-র জন্য অন্যান্য ট্রেনে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হলেও, গরীব রথে একই যাত্রার জন্য মাত্র ৮১৫ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়।  

গরীব রথের গতি-

কম ভাড়া ছাড়াও, গরীব রথ গতির দিক থেকে ভারতের দ্রুততম কিছু এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রতিদ্বন্দ্বী। গরীব রথের সর্বোচ্চ অপারেটিং গতি ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা, যা রাজধানী এক্সপ্রেসের সমান। কম ভাড়া সত্ত্বেও, গরীব রথে আরামদায়ক আসন এবং পরিষ্কার শৌচালয়-সহ ভ্রমণকারীদের প্রয়োজনীয় সমস্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।