আজকাল ওয়েবডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসীম মুনিরের "ভুলবো না" সতর্কতার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লি জানিয়েছে যে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কাশ্মীর দেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, একই সঙ্গে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের কথা উল্লেখ করে ইসলামাবাদকে "অবৈধভাবে দখলকৃত অঞ্চল" হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হয়েছে। 

বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "গলার মধ্যে কাঁটা কি করে থাকতে পারে? একটি শরীরে ভিতরে কি কখনই বাইরের কিছু বাস করে? এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভারতের। পাকিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীরের একমাত্র সম্পর্ক হল বেআইনিভাবে ওরা যেটা আটকে রেখেছে, তা মুক্ত করে দিক।"

ইসলামাবাদ থেকে প্রবাসী পাকিস্তানিদের আলোচনাসভায় ভাষণে বুধবার পাক সেনাপ্রধান আশিম মুনির দাবি করেছিলেন, "বিশ্বের কোনও শক্তি কাশ্মীর থেকে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।" ১৯৪৭ সালে যে দ্বিজাতি তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে দেশভাগ হয়েছিল, ফের সেই প্রসঙ্গ টেনে মুনির বলেন, "আপনারা ভুলে যাবেন না যে আপনারা এক সর্বশক্তিমান আদর্শ ও সংস্কৃতির ধারক-বাহক।" হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কের ব্যাখ্যা দিয়ে পাক সেনাপ্রধান বলেন, "আপনারা সন্তানদের পাকিস্তানের ইতিহাস, জন্মকথা শোনান। আমাদের পূর্বসূরীদের চিন্তাভাবনার কথা, যেমন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা হিন্দুদের থেকে পুরোপুরি আলাদা। সে কারণেই দু'টি পৃথক রাষ্ট্র গড়ে তোলা হয়েছিল। পাকিস্তানের সঙ্গে হিন্দুস্থান বা ভারতে আমূল পার্থক্য ছিল, আছে, থাকবে।"

পাক সেনাপ্রধানের কথায়, "আমাদের ধর্ম আলাদা। আমাদের প্রথা, আচার-অনুষ্ঠান, রীতিনীতি আলাদা। আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতি পৃথক, আমাদের চিন্তাভাবনার আমূল ফারাক আছে। সর্বোপরি আমাদের জীবনের লক্ষ্যও সম্পূর্ণ আলাদা। এই জায়গায় দাঁড়িয়েই দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত গড়ে উঠেছিল। আমরা ভিন্ন মতাদর্শের দু'টি দেশ, এক রাষ্ট্র নয়।"

বর্তমান প্রজন্মের ভিতরে দেশ নিয়ে একটি জাতীয়তাবোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন মুনির। মুনির আরও দাবি করেন যে, পাকিস্তানিরা একটি উচ্চতর আদর্শ এবং সংস্কৃতির দ্বারা আবদ্ধ এবং প্রবাসীদের দেশের মৌলিক ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।