আজকাল ওয়েবডেস্ক: একসময় খেজুরের উৎস ছিল মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার দেশগুলো। বাণিজ্যের জন্য খেজুর আনতেন সে দেশের বণিকরা, বিনিময়ে নিয়ে যেতেন ভারতের মশলা। এখন কালের নিয়মে ভারতেও প্রবল জনপ্রিয় এই ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা, ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। রমজান মাসে ইফতারের সময় খেজুর একটি অপরিহার্য খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়।
১. শক্তি বৃদ্ধি করে: খেজুর প্রাকৃতিক শর্করায় (যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ) ভরপুর থাকে। এই শর্করাগুলি খুব দ্রুত শরীরে মিশে যায় এবং তাৎক্ষণিক শক্তি প্রদান করে। যাঁরা দুর্বলতা অনুভব করেন বা যাঁদের দ্রুত শক্তির প্রয়োজন, তাঁদের জন্য খেজুর একটি চমৎকার খাবার। বিশেষ করে রমজান মাসে দীর্ঘ সময় উপবাসের পর খেজুর খেলে শরীরে দ্রুত শক্তি ফিরে আসে।
২. হজমক্ষমতা উন্নত করে: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এই ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে ভাল রাখতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করে। নিয়মিত খেজুর খেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকে এবং খাবার সহজে হজম হয়।
৩. হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করে: খেজুরে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান থাকে। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ম্যাগনেসিয়াম হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক। নিয়মিত খেজুর খেলে হার্ট সুস্থ থাকে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
৪. রক্তাল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন বা লৌহ থাকে। আয়রন শরীরের লোহিত রক্তকণিকার একটি অপরিহার্য উপাদান। নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরে আয়রনের অভাব দূর হয় এবং রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি কমে। বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে আয়রনের অভাব বেশি দেখা যায়, তাই তাঁদের জন্য খেজুর একটি উপকারী খাবার।
