আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফাঁকা বাড়িতে কিছুদিন কথা বলার পরেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী ও ভাড়াটে যুবক। এমনকী বাড়িওয়ালার অবর্তমানে যৌনতায় লিপ্ত হন দু'জনে। মাস কয়েক পরেই টের পান বাড়িওয়ালা। এরপরই তিনি যা করলেন, তাতেই চোখ ছানাবড়া পুলিশের। ভাড়াটে যুবককে জ্যান্ত পুঁতে দিলেন তিনি। অবশেষে উদ্ধার দেহ। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে হরিয়ানার রোহতাকে। পুলিশ জানিয়েছে, জগদীপ নামের যুবক স্থানীয় একটি কলেজের যোগা প্রশিক্ষক ছিলেন। হরদীপের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। হরদীপের স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর। বিষয়টি জানাজানি হতেই জগদীপকে খুনের পরিকল্পনা করেন হরদীপ। তাও আবার কয়েকজন বন্ধুর সাহায্য নিয়ে। 

গতবছর ২৪ ডিসেম্বর জগদীপকে অপহরণ করেন হরদীপ ও তাঁর দুই বন্ধু। এরপর দূরের একটি গ্রামের মধ্যে সাত ফুট গভীর গর্তে, জগদীপকে হাত, পা, মুখ বেঁধে ফেলে দেন। তারপর মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যান। খুনের দশদিন পরেই জগদীপের নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় থানায়। কিন্তু তল্লাশি অভিযানে নেমে কোনও খোঁজ মেলে না তাঁর। 

দিন কয়েক আগেই হরদীপের ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখে পুলিশ। সন্দেহ হতেই তাঁকে আটক করে জেরা শুরু। পাশাপাশি হরদীপের আরও এক বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। দীর্ঘ জেরার পর দু'জনেই খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে নেন। খুনের তিন মাস পর সেই গ্রামে গিয়ে গর্ত খুঁড়ে দেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হরদীপের আরও এক বন্ধুর খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।