আজকাল ওয়েবডেস্ক: মোহালির মাত্তৌরে একটি ফাস্ট ফুড কারখানায় অভিযান চালিয়ে ফ্রিজ থেকে কুকুরের মাথা উদ্ধার করার পর, স্থানীয় প্রশাসন পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে দুই দিনের বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান। অভিযানকালে বিপুল পরিমাণ পচা খাদ্য সামগ্রী ধ্বংস করা হয়।

রবিবার, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে, পৌরসভার একটি দল একটি রেসিডেন্সিয়াল বাড়িতে পরিচালিত মোমো এবং স্প্রিং রোল কারখানায় হানা দেয়। অনলাইনে ভিডিও প্রকাশিত হয়েছিল যেখানে দেখা যায় শ্রমিকরা নোংরা জল এবং পচা সবজি ব্যবহার করছেন। জানা গেছে, গত দুই বছর ধরে পরিচালিত এই কারখানাটি প্রতিদিন এক কুইন্টালের বেশি মোমো এবং স্প্রিং রোল তৈরি করত এবং এগুলো চণ্ডীগড়, পঞ্চকুলা ও কালকার বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করত। কারখানা থেকে বরফ-জমা মাংস, একটি ক্রাশার মেশিন এবং ব্যবহৃত তেল উদ্ধার করা হয়।

সোমবারও অভিযান চলতে থাকে, যখন পৌরসভার মেডিকেল দল মাত্তৌরের মুরগির দোকানগুলিতে হানা দেয় এবং প্রায় ৬০ কেজি দুর্গন্ধযুক্ত জমাট বাঁধা মুরগির মাংস ধ্বংস করে। অভিযানের সময় মোমো, স্প্রিং রোল এবং চাটনির নমুনা ল্যাব পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

একটি অভিযানে ফ্রিজের ভিতর থেকে পাগ জাতীয় কুকুরের মাথা উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা চিৎকার করে 'বিড়াল' বললেও, কর্মকর্তারা স্পষ্ট করেছেন যে এটি মোমো তৈরিতে ব্যবহৃত হয়নি, বরং কারখানার নেপালি শ্রমিকরা নিজেদের ব্যবহারের জন্য রেখেছিল। কুকুরের মাংস কারখানার পণ্যগুলিতে ব্যবহার করা হয়েছিল কি না, তা নিশ্চিত করতে মাথাটি পশু চিকিৎসা বিভাগের কাছে পাঠানো হয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ডিএইচও) ঘটনাস্থলে গিয়ে একাধিক স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন শনাক্ত করেন, যার মধ্যে অস্বাস্থ্যকর উপাদান ব্যবহার ছিল অন্যতম। কারখানাটি অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল, এবং এর মালিক ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

মোহালির সিভিল সার্জন ডাঃ সঙ্গীতা জৈন জানিয়েছেন, "লিখিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।" সহকারী খাদ্য নিরাপত্তা কমিশনার ডাঃ অমৃত ওয়ারিং নিশ্চিত করেছেন যে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং ল্যাব টেস্টের ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।