আজাল ওয়েবডেস্ক: রক্ষকই ভক্ষক! প্রাইভেট টিউশনে পড়তে একটি বাড়িতে যেত নয় বছরের মেয়ে। বাচ্চাটির সঙ্গে ভাব জমেছিল ওই বাড়িতে কর্মরত ৫১ বছরের বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীর। বেশ কয়েকদিন যাওয়া-আসার পর ওই রক্ষী বাড়ির একটি বারান্দায় পায়রা দেখানোর অজুহাত দিয়ে মেয়েটিকে নিয়ে যায়। সকলের আড়ালে সেখানেই সে সেরে ফেলে অশ্লীল কাজ। এরপরই মেয়েটি ওই বাড়িতে পড়তে যেতে অস্বীকার করে। 

কেন হঠাৎ এই মনোভাব? বাচ্চাটির মা মেয়েকে সব জিজ্ঞেস করতেই আসল তথ্য সামনে আসে। মেয়েটি ওই রক্ষীর কুরুচিকর কাজ ফাঁস করে। এই ঘটনা গত ৭ মার্চের। ঘটেছে মুম্বইয়ের গোরেগাঁওয়ে। 

মেয়ের মুখে নির্যাতনের ওই কথা শুনেই আর দেরি করেননি মেয়েটি মা। সোজা থানায় নালিশ জানান ১২ মার্চ। এরপরই মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়।

গোরেগাঁও পুলিশ ওই রক্ষীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন ও যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনের অধীনে মামলা দায়ের করে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ওই বাড়ির ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর, থানাতেই হয় অভিযুক্তকে শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া। এরপরই অভিযক্ত রক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়। একজন পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার সময় ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্তের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল।

তথ্য অনুসারে, মুম্বই পুলিশ প্রতিদিন ৪-১৬ বছর বয়সী শিশুদের যৌন নির্যাতনের ছয়'টি মামলা নথিভুক্ত করে। ২০২৩ সালে, দেশের আর্থিক রাজধানীর পুলিশ ক্যালেন্ডার অনুসারে বছরের প্রথম ১১ মাসে পকসো আইনের অধীনে ১,০০৫টি যৌন নির্যাতন এবং নির্যাতনের ঘটনা রেকর্ড করেছে।

গোরেগাঁওয়ের ঘটনাটি গত বছরের থানেতে ঘটে যাওয়া ঘটনার স্মৃতি উস্কে দেয়, যেখানে একটি স্কুলের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী দুই নাবালিকা মেয়েকে যৌন নির্যাতন করেছিল। ২৪ বছর বয়সী অক্ষয় শিন্ডেকে বদলাপুরের একটি স্কুলের শৌচালয়ে দুই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের পাঁচ দিন পর ১৭ অগাস্ট গ্রেপ্তার করা হয়।