আজকাল ওয়েবডেস্ক: হাঁচি একটি স্বাভাবিক প্রতিবর্ত ক্রিয়া। যখন নাকের মধ্যে কোনও বাহ্যিক পদার্থ প্রবেশ করে, তখন নাসিকাগহ্বরে থাকা স্নায়ুগুলি মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায়। মস্তিষ্ক সেই সংকেত অনুযায়ী শ্বাস যন্ত্রের পেশীগুলিকে সংকুচিত করার নির্দেশ দেয়, ফলে হঠাৎ করে নাক এবং মুখ দিয়ে তীব্র বেগে বাতাস বার হয়। একেই সাধারণ ভাষায় আমরা হাঁচি বলি। হাঁচি আমাদের শরীরকে অনেক ধরনের ক্ষতিকারক পদার্থ থেকে রক্ষা করে। তবে, অতিরিক্ত হাঁচি খুবই বিরক্তিকর। ক্রমাগত হাঁচি হলে তা বিরক্তির উদ্রেক করে। শরীরকেও কষ্ট দেয়। যাঁদের বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি আছে তাঁদের সমস্যা অনেকটাই বেশি। পরাগ, ধুলো, পশুর লোম, বা খাদ্যের অ্যালার্জির মতো নানা কারণে হাঁচি হতে পারে। তবে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা জানা থাকলে কিছুটা হলেও আরাম মিলতে পারে।
১. মধু: মধু হাঁচি কমাতে খুবই কার্যকরী। এতে 'অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল' এবং 'অ্যান্টিভাইরাল' গুণ রয়েছে যা হাঁচি দূর করতে সাহায্য করে। এক চামচ মধু খেলে বা গরম জলে মিশিয়ে পান করলে হাঁচি কমে যেতে পারে।
২. আদা: আদাও হাঁচি কমাতে খুবই উপযোগী। আদার মধ্যে 'অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি' বৈশিষ্ট রয়েছে যা নাকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। চাইলে আদা দেওয়া খেতে চা পারেন কিংবা সরাসরি এক টুকরো আদা চিবিয়ে খেতে পারেন।
৩. ইউক্যালিপটাস তেল: ইউক্যালিপটাস তেলেও 'অ্যান্টিসেপটিক' এবং 'অ্যান্টিভাইরাল' গুণাবলী রয়েছে। কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল রুমালে নিয়ে শুঁকলে হাঁচি কমে যেতে পারে। এছাড়াও, গরম জলে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল দিয়ে ভাপ নিলে উপকার পাওয়া যায়।
 তবে কখনও কখনও একটানা হাঁচি হওয়া গভীর রোগের বাহ্যিক উপসর্গ হতে পারে। তাই বেশি অসুবিধা হলে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।