আজকাল ওয়েবডেস্ক: আনোয়ার আলি কি ডার্বিতে খেলতে পারবেন? বড় ম্যাচের ৪৮ ঘন্টা আগে দুই শিবিরেই একই প্রশ্ন। উত্তরে স্বস্তি পেতে পারে দুই দলই। এখনও পর্যন্ত হলফ করে বলা যাবে না, আনোয়ার খেলবেই। অস্কার ব্রুজো জানান, দেশের সেরা ডিফেন্ডারের প্রথম একাদশে থাকার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ। তবে এটা ইস্টবেঙ্গলের চালও হতে পারে। শত্রু শিবিরকে ধোঁয়াশার মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হতে পারে। তবে আনোয়ার যদি না খেলতে পারে, বাড়তি দায়িত্ব পড়বে লালচুংনুঙ্গার ওপর। আগের দিন হিজাজির ভুলে তৃতীয় গোল হজম করে ইস্টবেঙ্গল। একটা গোলের ক্ষেত্রে দায়ী হেক্টর ইউস্তের মন্থর গতি। এই অবস্থায় আনোয়ার না খেলতে পারলে তাঁকে বাড়তি সক্রিয় থাকতে হবে। 

অস্কারের কোচিংয়ে খেলা খুলেছে নুঙ্গার‌। তাঁকে অন্য পজিশনে খেলাচ্ছেন‌ ইস্টবেঙ্গল কোচ। শেষ দুই ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি ইস্টবেঙ্গল। ডার্বির ঠিক আগে মুম্বইয়ের কাছে তিন গোল হজম করেছে। আনোয়ার অনিশ্চিত। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও মোহনবাগানের বিধ্বংসী ত্রয়ীকে আটকাতে বদ্ধপরিকর ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডার। চুংনুঙ্গা বলেন, 'শেষ ম্যাচে আমরা ক্লিনশিট রাখতে পারিনি। আমরা আরও উন্নতি করার চেষ্টা করছি। ভুল শুধরে মাঠে নামতে চাই। ইস্টবেঙ্গল বড় ক্লাব। প্রত্যেক ম্যাচে অ্যাপ্রোচ আলাদা। আমরা প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবি না। আমরা ভাল ট্রেনিং করছি। নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। ক্লিনশিট রাখাই লক্ষ্য।' কলকাতায় ডার্বি খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু খেলতে হবে গুয়াহাটিতে। একটা আফশোস অবশ্যই রয়েছে। জানিয়ে দিলেন, সমর্থকদের মিস করবেন। চুংনুঙ্গা বলেন, 'ভারতীয় ফুটবলে ডার্বি বড় ব্যাপার। ফ্যানদের মিস করব। ফুটবলাররা সমর্থকদের সামনে খেলতে পছন্দ করে। কিন্তু এবার সেটা সম্ভব নয়। আমরা সমর্থকদের মিস করব, তবে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।' অস্কারের তত্ত্বাবধানে উন্নতি করছেন ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডার। নুঙ্গা জানান, কোচ তাঁকে আরও ভাল ফুটবলার এবং ডিফেন্ডার করার জন্য সর্বদা পেছনে লেগে থাকেন। ভেন্যু বদলে কি ভাগ্য বদলাবে ইস্টবেঙ্গলের?