আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতে আরও একজন এইচএমপিভি আক্রান্ত হল। বুধবারের রিপোর্ট অনুসারে আক্রান্ত ব্যক্তি মুম্বইয়ের বাসিন্দা। এই সময়ে গোটা দেশে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮ জন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার এবিষয়ে সমস্ত রাজ্যকে সতর্ক করেছে। 

 


ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. ইরফান আনসারি জানিয়েছেন সেখানে তারা ইতিমধ্যেই সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তাদের রাজ্যে যাতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিকে তারা নজর রাখছেন। তারা স্বাস্থ্য দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন তারা ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন রেল স্টেশন এবং বিমানবন্দরে টিম নিয়ে তৈরি থাকে। যদি কাউকে সন্দেহ হয় তাহলে যেন অবিলম্বে তাকে পরীক্ষা করা হয়।


ইরফান আরও জানিয়েছেন, ৫ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ব্যক্তিরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর লক্ষণগুলি অনেকটা কোভিডের মতোই। তাই কোনও ঢিলেমি দিতে চান না তারা। আগে থেকেই যদি সতর্ক না হওয়া যায় তাহলে পরে গিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে। সোমবার বেঙ্গালুরুতে একজনের দেহে এই ভাইরাসের সন্ধান মেলে। তৃতীয় ব্যক্তির খোঁজ মেলে গুজরাটে। সেখানে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

 


এইচএমপিভি একটি সাধারণ রেসপিরেটরি ভাইরাস যার লক্ষণ একেবারে শর্দি-কাশির মতোই। চিনে ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের শিকার হয়েছেন অনেকেই। এর থেকে বাঁচার সবথেকে ভাল উপায় হল আগে থেকে সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণ করা। মিজোরাম সরকার ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করেছে। এই কমিটি সেখানে এই ভাইরাসের দিকে সর্বদা নজর রাখছে। যাতে কোনও ধরণের সংক্রমণ না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে।


উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মঙ্গলবারই স্বাস্থ্য দপ্তরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানে তিনি একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। বয়স্ক থেকে শুরু করে শিশুদের মধ্যে বেশি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাই আগে থেকেই তাদেরকে নিয়ে সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। শীতের সময় এমনিতেই শর্দি-কাশির প্রভাব বেশি থাকে। সেখানে এই রোগের বৃদ্ধি বেশি হতেই পারে। তাই আগে থেকেই সতর্ক রয়েছে দেশের প্রতিটি রাজ্য। এই রোগ শুধু ভারতেই ধীরে ধীরে বাড়ছে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও দেখা গিয়েছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, হংকংয়ে বেশকিছু মানুষ এই রোগের শিকার হয়েছেন।