আজকাল ওয়েবডেস্ক: অ্যাডিলেডে মিচেল স্টার্কের দাপটে গুঁড়িয়ে যায় ভারতের ব্যাটিং। ইনিংসের প্রথম বলেই ফেরান যশস্বী জয়েসওয়ালকে। পারথে ব্যাট করার সময় অজি তারকাকে স্লেজিং করেন ভারতীয় ওপেনার। বলেন, তাঁর বল ধীর গতিতে ব্যাটে আসছে। সেদিন মুখে কোনও জবাব দেননি স্টার্ক। অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম ইনিংসে তাঁর বল কথা বলে। ৪৮ রানে ৬ উইকেট তুলে নেন। টেস্টে স্টার্কের সেরা বোলিং। যশস্বীর উইকেট প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, অতি সাধারণ জবাব দেন তারকা পেসার। জানান, কোনও আলাদা পরিকল্পনা তাঁর ছিল না। স্টার্ক বলেন, 'স্ট্যাম্পের সামনে প্যাডে লাগে। ব্যাস এটাই। কোনও স্পেশাল কিছু না। বেশ কয়েকবছর ধরে এটাই আমার ভূমিকা। স্ট্যাম্প বরাবর বল করা। এদিন তাতে সাফল্য আসায় সন্তুষ্ট। এই ব্যাটিং লাইন আপে শুরুতে উইকেট নেওয়া কতটা জরুরি আমরা সবাই জানি। এভাবে শুরু করা সবসময়ই ভাল। গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট ম্যাচ। বড় সিরিজ।'
অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম দিনে আধিপত্য ছিল অজি পেসারদের। পরপর উইকেট হারানোর মাঝেই পাল্টা আক্রমণ করেন নীতীশ কুমার রেড্ডি। একের পর এক স্ট্রোক খেলেন। শেষপর্যন্ত স্টার্ককেই উইকেট দেন। অস্ট্রেলিয়ান তারকা মনে করেন, টি-২০ ক্রিকেটের আবির্ভাবে খেলাটা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে স্টার্ক বলেন, 'খেলাটা বদলে গিয়েছে। সেটা অনেকটাই টি-২০ যুগের জন্য। অনেকেই আইপিএল দিয়ে কেরিয়ার শুরু করে। এদের মনে কোনও ভয়ডর নেই। শুরু থেকেই হাত খুলে খেলার একটা প্রত্যাশা থাকে। বয়স যাই হোক না কেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদার্পণ করা মানেই কোয়ালিটি প্লেয়ার। গত সপ্তাহে আমরা যশস্বী জয়েসওয়ালকে দেখেছি। দারুণ ইনিংস খেলেছে। তারপর নীতিশ এদিন যা সব শট খেলল। কয়েকটা বিশেষ শট ছিল। টি-২০ হোক বা টেস্ট, তরুণ প্রজন্ম ভয় পায় না। আমি এত বছর ধরে আছি, কিছু পরিবর্তন আমার চোখে পড়েছে।'
দিনের শেষটা মাত্র এক উইকেটে করতে পেরে খুশি স্টার্ক। জানান, গোলাপী বলে তৃতীয় সেশনে ব্যাট করা সবচেয়ে কঠিন। বিশেষ করে গোধূলির সময়। এই পর্বে কোনও উইকেট না হারানোয় ক্রিজে উপস্থিত দুই ব্যাটারকে কৃতিত্ব দিলেন। স্টার্ক বলেন, 'দিনের শেষটা আমাদের ভালভাবে হয়েছে। সার্বিকভাবে আমাদের জন্য ভাল দিন। তৃতীয় সেশনে নতুন গোলাপী বলে ব্যাট করা সবচেয়ে কঠিন। কোয়ালিটি বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে উইকেট ধরে রাখার জন্য ওদের প্রশংসা করতেই হবে। কাল আমাদের সামনে সুযোগ থাকবে।' শনিবার লিড নেওয়ার লক্ষ্যে নামবে অস্ট্রেলিয়া।
