আজকাল ওয়েবডেস্ক : ফের মাথার উপর ঘনাচ্ছে দুর্যোগের কালো মেঘ। আইএমডি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে বঙ্গোপসাগরে ফের তৈরি হয়েছে নতুন নিম্নচাপ। এর আগে ঘুর্ণিঝড় ফেঙ্গালের জেরে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে পডুচেরিতে এর ল্যান্ডফল হওয়ার কারণে বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। তামিলনাড়ুতে বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ফেঙ্গালের জন্য। এখনও চলছে তার ত্রাণকাজ।
তবে এবার ফের একবার নতুন করে সাবধানবানী শোনাল হাওয়া অফিস। দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর ফের তৈরি হয়েছে নতুন নিম্নচাপ। এটি পশ্চিম-উত্তরপূর্বদিকে ক্রমশ করে যাবে। তবে এটি ধীরে ধীরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই। ফলে উপকূলের জেলাগুলিতে ১২ এবং ১৩ ডিসেম্বর ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘুর্ণিঝড় ফেঙ্গালের পর এই নিম্নচাপ ফের নতুন করে মাথাব্যাথা তৈরি করতে পারে।
সমুদ্র থেকে এটি বর্তমানে প্রচুর শক্তি সঞ্চয় করছে। এরফলে তামিলনাড়ু থেকে শুরু করে তার পাশের জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টি হবে। ইতিমধ্যেই এই এলাকাগুলিতে ফের জারি করা হয়েছে সতর্কতা। বিভিন্ন ফ্লাইওভারে সেই সময় যাতে কোনও গাড়ি না ওঠে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা ইতিমধ্যে শুরু করেছে বৈঠক। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও তৈরি করা হচ্ছে। সমুদ্র তীরবর্তী স্থানগুলিকে ফাঁকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা শুরু হয়ে গিয়েছে।
চেন্নাই মেট্রো রেলের সময়সীমা পরিবর্তন করা হবে বলেই খবর মিলেছে। বেশ কয়েকটি বিমানের সময়সূচিরও পরিবর্তন করা হবে। সমুদ্র উত্তাল হওয়ার ফলে মৎস্যজীবীদের জন্য ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তবে নিম্নচাপের দিক পরিবর্তিত হলে তা বাংলার দিকেও আসতে পারে। সেজন্য জারি করা হয়েছে আগাম সতর্কতা। তবে যদি ফের ঝড়বৃষ্টির খেলা শুরু হয় তাহলে এর জেরে ফের বাড়বে তাপমাত্রা। কমবে শীতের আমেজ। এর জেরে যে শীতের আমেজ ভোগ করছেন বঙ্গবাসী সেখান থেকে তারা ফের বঞ্চিত হতে পারেন। তবে এই ঘুর্ণাবর্তের অভিমুখ কোন দিকে যাবে সেদিকেই এখন সকলের নজর থাকবে।
