আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চলন্ত বাসে কুপিয়ে খুন। নিগৃহীতা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের কাঁদরা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে কোপ দেওয়ার পরই বাস থেকে ঝাঁপ দেয় অভিযুক্ত। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছাত্রীর। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। নিহত ছাত্রীর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত বাবু শেখের বাড়ি তাদের এলাকাতেই।
ঘটনার সূত্রপাত কয়েক মাস আগে। গত ছ’মাস ধরে ওই নিহত ছাত্রীকে নিয়মিত উত্যক্ত করছিল সে। কিন্তু বাবু শেখের প্রস্তাবে রাজি হয়নি নাবালিকা। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে অভিযুক্ত। সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মাসির সঙ্গে কাঁদরা এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল সে। তার গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল অভিযুক্ত। বিপত্তি ঘটে ফেরার পথে। বাসে করে বাড়ি আসার সময় সবার অগোচরে ছাত্রীর ঠিক পিছনের সিটে বসে পড়ে বাবু শেখ। এরপর আচমকাই চলন্ত বাসে পিছন থেকে ছাত্রীর গলায় ছুরি চালিয়ে দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চলন্ত বাসে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে নাবালিকা। এরই মধ্যে বাসের পিছনের দরজা দিয়ে লাফ মারে বাবু। ঘটনাটি এত দ্রুত গতিতে ঘটে সহযাত্রীরা তাকে ধরতে পারেননি। বাসের মধ্যে কয়েক মিনিটের মধ্যে মৃত্যু হয় নাবালিকার।
মৃতের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, বাবু শেখ নামে ওই যুবক অনেকদিন ধরে তাদের মেয়েকে উত্যক্ত করছিল। মঙ্গলবার বাসে করে ফেরার সময় পিছন থেকে মেয়ের গলায় ক্ষুর চালিয়ে দেয় সে। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই মারা যায় নাবালিকা। এরপরই তিনি দোষীর ফাঁসির আর্জি জানান।
ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় বাসের অন্য যাত্রীদের মধ্যে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে তারা। দ্রুত দোষীকে ধরা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে পুলিশের তরফে।
