আজকাল ওয়েবডেস্ক: আজ থেকে ৪০ বছর আগে কপিলের ডেভিলরা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার পেয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে। এছাড়াও পেয়েছিলেন একটি করে সোনার চেন। এই টাকা এবং চেনের সংকুলান করার জন্যে বোর্ড সভাপতি এনকেপি সালভে, ট্রেজারার জগমোহন ডালমিয়া এবং ক্রিকেট কর্তা রাজ সিং দুঙ্গারপুরকে সাহায্য নিতে হয়েছিল তারকা গায়িকা লতা মঙ্গেসকরের। দিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে কনসার্ট করে এই টাকাটা তোলে তখন আর্থিক কষ্টে থাকা ক্রিকেট বোর্ড। ক্রিকেটাররা ইংল্যান্ডে দৈনিক পঞ্চাশ পাউন্ড করে পেতেন নিজেদের লাঞ্চ, ডিনার এবং ব্রেকফাস্টের জন্যে। এরমধ্যে ছিল লন্ড্রি খরচও। ভারতীয় ক্রিকেটাররা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যে ১৫ হাজার টাকা বোনাস পেয়েছিলেন ভারতীয় বোর্ডের থেকে। ২০১১ সালে ভারত যেবার শেষ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে, সেবার আইসিসি বিশ্বকাপে মোট পুরস্কার মূল্য ছিল ৬৬ কোটি টাকা। বিজয়ী ভারতীয় দল পেয়েছিল ২৫ কোটি টাকা। শ্রীলঙ্কা রানার্স হয়ে তার অর্ধেক, অর্থাৎ সাড়ে ১২ কোটি টাকা পেয়েছিল। ভারতীয় দলের প্রতিটি ক্রিকেটার বোর্ডের থেকে ২ কোটি টাকা বোনাস পেয়েছিলেন। অর্থাৎ ১৯৮৩ সালে যা ছিল পনের হাজার, ২৮ বছর পরে তা হয়ে যায় ২ কোটি। এবার ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়ন হলে বোর্ড ক্রিকেটারদের কত বোনাস দেবে সেটা নির্ধারিত না হলেও, প্রাইজ মানি কিন্তু স্থির। এবার আইসিসির মোট পুরস্কার অর্থ ৮২.৩৫ কোটি টাকা। রোহিত শর্মারা চ্যাম্পিয়ন হলে পাবেন ৩৩.১৭ কোটি টাকা। রানার্স আপ হলে এর অর্ধেক টাকা। এছাড়া বিভিন্ন রাজ্য সরকারের দেওয়া পুরস্কার তো থাকবেই। কপিল দেবরা কি ঈর্ষা করেন রোহিত-বিরাটদের? ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের উইকেটকিপার সৈয়দ কিরমানির একটি কথা দিয়ে প্রতিবেদন শেষ করি, "ঈর্ষা? না, ওরা আমাদের ঈর্ষা করবে একটিই কারণে। ক্রিকেটে এখন অনেক বেগ এসেছে, চলে গিয়েছে আবেগ। ওরা খেলে মস্তিস্ক দিয়ে, আমরা খেলতাম হৃদয় দিয়ে। দুটোই অবধারিত ভাবে সত্যি। সময় থেমে থাকে না, চলমান নদির মত এগিয়ে যায়। তাই কপিলও যেমন সত্যি তেমনই সত্যি ধোনি কিংবা রোহিত শর্মা। 
.