সম্পূর্ণা চক্রবর্তী: অনেক চেষ্টায়, আকুতি-মিনতি করে কোথাও থেকে শেষমুহূর্তে বিশ্বকাপ ফাইনালের একটা মহার্ঘ্য টিকিট জোগাড় করেছেন। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকার আনন্দে ফুটছেন। কিন্তু পকেটে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা আছে তো? শুনে আশ্চর্য লাগলেও আহমেদাবাদে এখন এটাই বাস্তব। শেষ মিনিটে টিকিট পেলে অন্যান্য শহর থেকে ট্রেনে আসার সুযোগ নেই। অগত্যা ভরসা আকাশ পথ। কিন্তু বিমানের ভাড়া আগুনছোঁয়া। কলকাতা থেকে আহমেদাবাদে বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখতে আসতে হলে ওয়ান ওয়েতে বিমান ভাড়া ৪৫ হাজার টাকা। তাও ডায়রেক্ট ফ্লাইট নয়, প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টার যাত্রা। কলকাতা থেকে আহমেদাবাদের ন্যূনতম ভাড়া ২৯ হাজার টাকা। তবে পৌঁছতে প্রায় ২৩ ঘণ্টা লেগে যাবে। অর্থাৎ একটা বিমান টিকিটের পেছনে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ করে আপনি পাক্কা একদিন পর আহমেদাবাদে পৌঁছবেন।
ফাইনালের ৪৮ ঘণ্টা আগে সবরমতির তীরের শহর যে এই চিত্র নিতে পারে বোঝা যায়নি। স্টেডিয়ামের ১০-১৫ মিনিট দূরে বিশ্বকাপের কোনও উন্মাদনা, উত্তেজনা ছিল না। বোঝাই যাচ্ছিল না, মোদির শহরে বিশ্বকাপ ফাইনাল। কিন্তু রাত পোয়াতেই গনগনে আঁচ। হোটেলের ভাড়া চারগুণ। আড়াই হাজারের ঘর বারো হাজার। যত সময় এগোচ্ছে চড়চড় করে বাড়ছে। যেমন শনিবার সকালে যে হোটেলের ভাড়া ছিল ৫০০০ টাকা, সেটা দুপুর গড়াতেই তিনগুণ। এত গেল সাধারণ হোটেলের কথা। একদিনের জন্য পাঁচতারা হোটেলের ভাড়া প্রায় দু"লক্ষ ছুঁইছুঁই। রমরমিয়ে ব্যবসা করছে হোটেল মালিকরা। যার ফলে বিপদে পড়তে হচ্ছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। যারা অনেক আগে থেকে কম ভাড়ায় হোটেল বুক করে রেখেছিল, শেষ মিনিটে সেই বুকিং বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। অগত্যা বাধ্য হয়েই তার তিনগুণ দামে সেই একই হোটেল বুক করতে বাধ্য হচ্ছে সমর্থকরা।
বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষকে লুটে নিচ্ছে মোদির রাজ্য। বিভিন্ন হোটেল বা ক্যাফেগুলোতেও একই অবস্থা। বিশ্বকাপ উপলক্ষে আকর্ষণীয় নামে বিশেষ মেনু করা হয়েছে, এবং সেগুলোর দাম সাধারণ মধ্যবিত্তদের বাইরে। শুক্রবার বিকেলে পর থেকে স্টেডিয়ামের ঠিক বাইরে বিক্রি হচ্ছিল রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের জার্সি, টুপি, হেড ব্যান্ড, ভারতের পতাকা। জার্সির দাম ছিল ২০০ টাকা, টুপিরও। এদিন সকাল থেকেই স্টেডিয়ামের বাইরে জার্সি, টুপি বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই একই জার্সির দাম ৪০০ টাকা। রাত পোয়াতেই দ্বিগুণ। কাল সকালে এই দাম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তার কোনও আন্দাজ নেই।
ফাইনালের ৪৮ ঘণ্টা আগে সবরমতির তীরের শহর যে এই চিত্র নিতে পারে বোঝা যায়নি। স্টেডিয়ামের ১০-১৫ মিনিট দূরে বিশ্বকাপের কোনও উন্মাদনা, উত্তেজনা ছিল না। বোঝাই যাচ্ছিল না, মোদির শহরে বিশ্বকাপ ফাইনাল। কিন্তু রাত পোয়াতেই গনগনে আঁচ। হোটেলের ভাড়া চারগুণ। আড়াই হাজারের ঘর বারো হাজার। যত সময় এগোচ্ছে চড়চড় করে বাড়ছে। যেমন শনিবার সকালে যে হোটেলের ভাড়া ছিল ৫০০০ টাকা, সেটা দুপুর গড়াতেই তিনগুণ। এত গেল সাধারণ হোটেলের কথা। একদিনের জন্য পাঁচতারা হোটেলের ভাড়া প্রায় দু"লক্ষ ছুঁইছুঁই। রমরমিয়ে ব্যবসা করছে হোটেল মালিকরা। যার ফলে বিপদে পড়তে হচ্ছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। যারা অনেক আগে থেকে কম ভাড়ায় হোটেল বুক করে রেখেছিল, শেষ মিনিটে সেই বুকিং বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। অগত্যা বাধ্য হয়েই তার তিনগুণ দামে সেই একই হোটেল বুক করতে বাধ্য হচ্ছে সমর্থকরা।
বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষকে লুটে নিচ্ছে মোদির রাজ্য। বিভিন্ন হোটেল বা ক্যাফেগুলোতেও একই অবস্থা। বিশ্বকাপ উপলক্ষে আকর্ষণীয় নামে বিশেষ মেনু করা হয়েছে, এবং সেগুলোর দাম সাধারণ মধ্যবিত্তদের বাইরে। শুক্রবার বিকেলে পর থেকে স্টেডিয়ামের ঠিক বাইরে বিক্রি হচ্ছিল রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের জার্সি, টুপি, হেড ব্যান্ড, ভারতের পতাকা। জার্সির দাম ছিল ২০০ টাকা, টুপিরও। এদিন সকাল থেকেই স্টেডিয়ামের বাইরে জার্সি, টুপি বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই একই জার্সির দাম ৪০০ টাকা। রাত পোয়াতেই দ্বিগুণ। কাল সকালে এই দাম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তার কোনও আন্দাজ নেই।
