অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার! নাম শুনলেই বুক কাঁপে, কারণ এই মারণরোগ সহজে ধরা পড়ে না। আর একবার থাবা বসালে দ্রুত ছড়িয়ে যায়। কিন্তু এবার এক সাধারণ ফ্লু ভাইরাস এই দুরারোগ্য ব্যাধির বিরুদ্ধে মোক্ষম হাতিয়ার হতে পারে বলে আশা দেখাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। লন্ডন থেকে আসা এই খবর সত্যিই যুগান্তকারী!
2
8
কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ফ্লু ভাইরাসটিকে সামান্য পাল্টে দিয়েছেন। এর ফলে, ভাইরাসটি এখন ক্যানসার কোষকে চিনে নিয়ে তাকে ধ্বংস করতে পারে।চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক অভিনব আবিষ্কার।
3
8
১) ভাইরাসটিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে সে কেবল অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার কোষের বাইরের একটি বিশেষ অংশকে চিনে নিতে পারে। একে সহজ ভাষায় ক্যানসার কোষের 'ঠিকানা' বলা যায়। সুস্থ কোষের শরীরে এই ঠিকানা থাকে না। ফলে ভাইরাসটি শুধু অসুস্থ কোষকে আক্রমণ করবে, ভালো কোষকে নয়। ফলে নিরাপত্তা নিশ্চিত!
4
8
২) একবার ক্যানসার কোষের ভেতরে ঢুকলে ভাইরাসটি দ্রুত বংশবৃদ্ধি শুরু করে। একটা সময় আসে, যখন কোষটি ভাইরাসের চাপ সামলাতে না পেরে ফেটে যায় বা ধ্বংস হয়ে যায়। এই পদ্ধতিতে ক্যানসার কোষগুলি মরবে, কিন্তু কেমোথেরাপির মতো আশপাশের টিস্যুর ক্ষতি হবে না।
5
8
৩) কোষ ফেটে গেলে যে নতুন ভাইরাসগুলি বেরিয়ে আসে, তারা তখন আশেপাশে লুকিয়ে থাকা অন্যান্য ক্যানসার কোষগুলিকে আক্রমণ করে। অর্থাৎ, এই প্রক্রিয়াটি ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে এবং ধীরে ধীরে পুরো টিউমারটাই শেষ হয়ে যেতে পারে।
6
8
৪) বিজ্ঞানীরা ইঁদুরের ওপর এই ভাইরাস প্রয়োগ করে আশ্চর্যজনক ফল পেয়েছেন। দেখা গিয়েছে, ভাইরাসটি ক্যানসারের বৃদ্ধিকে উল্লেখযোগ্যভাবে থামিয়ে দিয়েছে। এর থেকেই মানবদেহে পরীক্ষার জন্য বড় আশা দেখা দিয়েছে।
7
8
৫) বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই নতুন ভাইরাসটি বর্তমানে প্রচলিত ক্যানসারের ওষুধের (কেমোথেরাপি) সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করতে পারে। ফলে, যারা সহজে ওষুধে সাড়া দেয় না, সেই ক্যানসার কোষগুলিও এবার জব্দ হতে পারে। দুইয়ের মিলিত শক্তিতে ক্যানসার হারানোর সম্ভাবনা অনেক বাড়বে।
8
8
৬) এই ভাইরাসটিকে এমনভাবে পাল্টে দেওয়া হয়েছে, যাতে এটি সাধারণ মানুষের শরীরে কোনও রোগ বা ফ্লু তৈরি করতে না পারে। তাই প্রচলিত চিকিৎসার তুলনায় এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক কম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এটি ক্যানসার চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক নিরাপদ বিকল্প হতে চলেছে।