বীরেন ভট্টাচার্য, দিল্লি : অষ্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার নিকোলাস ম্যাকাফেরিকে রাজ্যের তিন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সম্মতি দিল না বিদেশ মন্ত্রক। হাই কমিশনের তরফে ইমেল করে রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে সম্মতি দেয়নি বিদেশমন্ত্রকের ওশিয়ানিয়া বিভাগ। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন এবং রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারের সঙ্গে বৈঠকে কোনও আপত্তি জানায়নি সংশ্লিষ্ট দপ্তর। তবে এই বৈঠকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।
১৮ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত কলকাতা সফরে অষ্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার। পাশাপাশি সুন্দরবনও রয়েছে তাঁর গন্তব্য তালিকায়। আজ বুধবার রাজ্যের তিন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল অষ্ট্রেলিয়ার ডেপুটি কমিশনারের। যদিও ওশিয়ানিয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, এই তিন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কোনও সুপারিশ করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আজ দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে সরব হন তৃণমূলের রাজ্যসভার উপদলনেতা সাগরিকা ঘোষ এবং সাংসদ সাকেত গোখলে। তাঁদের বক্তব্য, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এভাবে একটি রাজ্যকে এভাবে বঞ্চিত করা যায় না। সাকেত গোখলে অভিযোগ করেন, "একটি দেশের সার্বিক উন্নতি এবং অর্থনৈতিক বিকাশ করতে হলে রাজ্যগুলিকে শক্তিশালী করে তোলা প্রয়োজন। সেদিক থেকে বাংলার প্রতি হিংসাত্মক আচরণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিভিন্ন দেশকে বলা হয়েছে, এদেশে লগ্নি করতে হলে গুজরাটে আবশ্যিকভাবে বিনিয়োগ করতে হবে।" কেন্দ্রীয় সরকার শুধুমাত্র একটি রাজ্যের প্রতি আগ্রহী বলে অভিযোগ করেছেন সাকেত। তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিতে বিদেশি লগ্নির ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে। গত বছর জি২০ এর সময়ে প্রত্যেক রাজ্যকে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলেছিলেন। সেই মতো প্রতিটি রাজ্য তাদের মতো করে পদক্ষেপ করেছিল। যদিও রাজ্যগুলির সঙ্গে ভিন দেশের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভিন্ন আচরণ করছে বিদেশমন্ত্রক।" তিনি অভিযোগ করেন, মমতা ব্যানার্জি বিদেশে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তবে তাঁকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। এমনকী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ অন্যান্য কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও একই আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ সাকেতের।
সাগরিকা ঘোষ বলেছেন, "কেন্দ্রীয় সরকার অত্যন্ত নোংরাভাবে রাজ্যের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে সুপারিশ করা হয়েছে যাতে এই বৈঠক না হয়।" কেন বাংলার প্রতি এই ধরণের ব্যবহার করা হচ্ছে, তা জানতে চান তিনি। তিনি বলেন, "এই বৈঠক কেন হতে দেওয়া হল না, সে প্রশ্নের জবাব চান তিনি। রাজ্য সরকারকে এই সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। যেভাবে মনরেগা, আবাস যোজনার, টাকা দেওয়া হয়নি সেভাবেই বাংলার প্রতি এই ধরণের আচরণ করা হচ্ছে।" সাগরিকা আরও বলেন, "নরেন্দ্র মোদি নিজে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন একাধিক দেশে গিয়েছেন। কীভাবে তিনি এই বৈঠক না হওয়ার সুপারিশ করতে পারেন? আমরা এর জবাব চাই।"
বিষয়টি নিয়ে এত সহজে হাল ছাড়়তে নারাজ তৃণমূল। সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করে সংসদে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে জবাব চাইবে তৃণমূল।
১৮ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত কলকাতা সফরে অষ্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার। পাশাপাশি সুন্দরবনও রয়েছে তাঁর গন্তব্য তালিকায়। আজ বুধবার রাজ্যের তিন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল অষ্ট্রেলিয়ার ডেপুটি কমিশনারের। যদিও ওশিয়ানিয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, এই তিন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কোনও সুপারিশ করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আজ দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে সরব হন তৃণমূলের রাজ্যসভার উপদলনেতা সাগরিকা ঘোষ এবং সাংসদ সাকেত গোখলে। তাঁদের বক্তব্য, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এভাবে একটি রাজ্যকে এভাবে বঞ্চিত করা যায় না। সাকেত গোখলে অভিযোগ করেন, "একটি দেশের সার্বিক উন্নতি এবং অর্থনৈতিক বিকাশ করতে হলে রাজ্যগুলিকে শক্তিশালী করে তোলা প্রয়োজন। সেদিক থেকে বাংলার প্রতি হিংসাত্মক আচরণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিভিন্ন দেশকে বলা হয়েছে, এদেশে লগ্নি করতে হলে গুজরাটে আবশ্যিকভাবে বিনিয়োগ করতে হবে।" কেন্দ্রীয় সরকার শুধুমাত্র একটি রাজ্যের প্রতি আগ্রহী বলে অভিযোগ করেছেন সাকেত। তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিতে বিদেশি লগ্নির ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে। গত বছর জি২০ এর সময়ে প্রত্যেক রাজ্যকে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলেছিলেন। সেই মতো প্রতিটি রাজ্য তাদের মতো করে পদক্ষেপ করেছিল। যদিও রাজ্যগুলির সঙ্গে ভিন দেশের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভিন্ন আচরণ করছে বিদেশমন্ত্রক।" তিনি অভিযোগ করেন, মমতা ব্যানার্জি বিদেশে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তবে তাঁকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। এমনকী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ অন্যান্য কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও একই আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ সাকেতের।
সাগরিকা ঘোষ বলেছেন, "কেন্দ্রীয় সরকার অত্যন্ত নোংরাভাবে রাজ্যের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে সুপারিশ করা হয়েছে যাতে এই বৈঠক না হয়।" কেন বাংলার প্রতি এই ধরণের ব্যবহার করা হচ্ছে, তা জানতে চান তিনি। তিনি বলেন, "এই বৈঠক কেন হতে দেওয়া হল না, সে প্রশ্নের জবাব চান তিনি। রাজ্য সরকারকে এই সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। যেভাবে মনরেগা, আবাস যোজনার, টাকা দেওয়া হয়নি সেভাবেই বাংলার প্রতি এই ধরণের আচরণ করা হচ্ছে।" সাগরিকা আরও বলেন, "নরেন্দ্র মোদি নিজে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন একাধিক দেশে গিয়েছেন। কীভাবে তিনি এই বৈঠক না হওয়ার সুপারিশ করতে পারেন? আমরা এর জবাব চাই।"
বিষয়টি নিয়ে এত সহজে হাল ছাড়়তে নারাজ তৃণমূল। সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করে সংসদে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে জবাব চাইবে তৃণমূল।
