নিজস্ব সংবাদদাতা: সুন্দরবনের এক অজানা গল্প বলতে আসছে পরিচালক সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়-এর 'দোআঁশ।' প্রযোজনার দায়িত্বে আছেন প্রযোজক সুমনা কাঞ্জিলাল। 'মোজোটেল এন্টারটেনমেন্টস এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন'-এর ব্যানারে আসছে এই ছবি।
সম্প্রতি হয়ে গেল ছবির ট্রেলার এবং মিউজিক লঞ্চের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছবির দুই মুখ্য চরিত্র অর্থাৎ অভিনেত্রী শ্রীতমা দে এবং অভিনেতা অনুভব কাঞ্জিলাল।

ট্রেলারে দেখা মিলল সুন্দরবনের অদেখা ছবি। বনবিবিকে ভরসা করে জীবনকে বাজি রেখে দিনযাপন করেন যাঁরা, 'দোআঁশ' তাঁদের ছবি। ছবির গানের অ্যালবাম ও মুক্তি পেল এদিন। পারিজাত প্রধান-এর গাওয়া 'পিরিত ভরা কালা চোখে' গানটি ছবিতে এক অন্য মাত্রা যোগ করেছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকাল ডট ইন-কে বহু প্রতিক্ষিত এই দিনটি নিয়ে তিনি জানান, "আমার আনন্দ ব্যক্ত করার ভাষা নেই। আমার প্রায় ১২ বছরের চেষ্টার ফল যেন আমি স্বচক্ষে দেখতে পারছি। আসলে ছবিটি শুটিংয়ের জন্য এক বছর মতো সময় লাগলেও আমার সুন্দরবন নিয়ে, সেখানকার মানুষদের নিয়ে কাজের সময়সীমা বহু বছরের। ছবিতে আমার সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাঁদের মধ্যে একজনও না থাকলে ছবিটা অসম্পূর্ণ থেকে যেত।"



প্রযোজক সুমনা কাঞ্জিলাল-এর কথায়, "ছবিটার জন্য অনেক লড়াই করেছি। আজ দর্শকের কাছে এটুকুই বলবো, সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথটা সহজ না হলেও হাল ছাড়বেন না। মনের জোরের গল্প বলবে 'দোআঁশ'। মাটির কাছাকাছি পৌঁছতে হলে এই ছবিটি দেখতেই হবে।"

ছোটপর্দায় দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অভিনেতা অনুভব কাঞ্জিলাল। এই ছবিতে অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি জানান, "আমি দিল্লিতে বড় হয়েছি। গ্রামবাংলার সঙ্গে তেমন পরিচিত নই। এই ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে বাংলার গ্রামের সঙ্গে শুধু পরিচয়ই হয়নি। বাংলার মাটির স্পর্শ পেয়ে আমি যেন অন্য একটা মানুষ হয়ে গিয়েছিলাম। ছোটপর্দায় দর্শক আমায় যেমন ভালবাসা দিয়েছেন আশা করি এই ছবিতেও আমায় ভাল লাগবে সবার।"

অভিনেত্রী শ্রীতমা দে-এর কথায়, "ছবিতে আমার চরিত্রের নাম ঝুমরি। ঝুমরি যেন আমার খুব কাছের হয়ে উঠেছে। আমি এই চরিত্রটার বাইরে বেরোতে পারিনি এখনও।" কথা বলতে গিয়ে চোখের কোণে জল আসে নায়িকার। নিজেকে সামলে নিয়ে বলেন, "আমি বরাবরই চেয়েছি অন্যরকম কাজ করতে। এই ছবিটা আমার মনের খুব গভীরে আছে। আর থাকবেও।" চলতি বছর ৫ জুলাই বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে 'দোআঁশ'।