এন্টারটেনমেন্ট এন্টারটেনমেন্ট অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্ট.....
মীর আফসার আলির মজ্জায় মজ্জায় এই কথাগুলো মিশে গিয়েছে। তিনি জানেন, কী ভাবে মানুষের মন ভোলাতে হয়। কখনও কটাক্ষে। কখনও রসিকতায়। কখনও বা সরাসরি আঘাত করে। তাঁর মতো মনচোরা বাংলায় সত্যিই হাতেগোনা। আর তাই রেডিও ছেড়ে যেদিন তিনি ‘গল্পদাদু’ হয়ে আসরে নামলেন শ্রোতারা গোগ্রাসে গিলল তাঁর বলা গল্প। তারই ফলপ্রকাশ শনিবার সন্ধেয়। ১৪ মাসে ১০ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার ‘গপ্পো মীরের ঠেক’-এর। তারই উদযাপন এক অভিজাত ক্লাবে। উপস্থিত সস্ত্রীক সন্দীপ রায়, দামিণী বেণী বসু, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, মানসী সিনহা, রজতাভ দত্ত, আরজে অয়ন্তিকা-সহ বাংলার তাবড় তারকা। সেখানেই স্বভাবসিদ্ধ রসিকতা, যেন মেয়ের বিয়ে দিয়ে উঠলেন! তারপর উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘খুব ইচ্ছে, দৃষ্টিহীন শিশু আর বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে গল্প শোনাব। যাঁদের কেউ নেই তাঁদের জন্য ‘গপ্পো মীরের ঠেক’ আছে।’’
সাল ২০২৩-এর ২৩ জানুয়ারি। মাত্র এক বছর আগের গল্প। এই দিন মেয়ের জন্মদিন। প্রতি বছর একমাত্র সন্তানকে তার বিশেষ দিনে কিছু না কিছু দেন। সেবার বলেছিলেন, এবার আর কোনও পার্থিব কিছু নয়। এমন কিছু মেয়েকে দেবেন যা তাঁর অবর্তমানেও তাঁর ছায়া হয়ে থেকে যাবে। শিল্পীরা দূরদৃষ্টি হন। তাই কি এক বছর আগেই মীর বুঝেছিলেন, কালজয়ী কিছু করতে চলেছেন? আজকাল ডট ইন প্রশ্ন রাখতেই তাঁর জবাব, ‘‘একটুও বুঝিনি। ভয় ছিল। কিন্তু কিচ্ছু করার ছিল না। রেডিও ছাড়ার পর মুহূর্ত থেকে প্রাণটা যেন গলার কাছে ঠেকেছিল। অসহ্য দমবন্ধ অবস্থা। অবসাদে ভেঙে পড়েছি। তখনই ঠিক করি কিছু করতে হবে।’’ কিন্তু কী করবেন তিনি? নিজেকে বিশ্লেষণ করে বুঝেছিলেন, তিনি খুব ভাল গল্প বলতে পারেন। তাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। সঙ্গী তাঁর অতিপরিচিত কয়েকজন।
নিজের যাত্রাপথ বর্ণনা করতে গিয়ে মীরের কটাক্ষ, ‘‘যাঁরা আমায় ভরসা করে পাশে থেকেছেন তাঁদের কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞ। তবে সেই সব মানুষদের ধন্যবাদ জানাব আরও বেশি করে যাঁরা ভরসা করতে পারেননি। তাঁরা ভরসা করেননি বলেই আমরা বেশি খেটেছি। এবং তার এই ফলাফল।’’ ১৪ মাসে অসংখ্য সাহিত্যনির্ভর গল্প শুনিয়েছেন। অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অপরাজিত আঢ্য, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, অনিন্দ্য সেনগুপ্ত, গৌরব চক্রবর্তী এবং আরও অনেকে তাঁর গল্পের আসরে যোগ দিয়েছেন। মীরের কথায়, এঁদের অনেকে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করে গিয়েছেন। এই ঋণ শুধবার নয়।
২০২৪-এ ‘গপ্পো মীরের ঠেক ২’ আরও অনেক কিছু নতুন আনছে। যেমন, ২০২৪-এ ২৪টি নতুন গল্প আসছে। যার শুরু ১৩ এপ্রিল রাত ৯টায়। প্রতি শনিবারের এই আসরে শোনা যাবে উত্তরাধিকার, পদ্মানদীর মাঝি, দত্তা, বিষবৃক্ষ, কালবেলা, কাউরি বুড়ির মন্দির, আদর্শ হিন্দু হোটেল, কালপুরুষ, জয়ন্ত মানিক, চরিত্রহীন, আমি পিশাচ, দস্যু মোহন, শার্লক হোমস, পথের পাঁচালি ইত্যাদি। আর থাকবে শ্রোতাদের বাড়িতে গিয়ে গল্প শোনানো! হ্যাঁ, এটিও করতে চলেছেন মীর। ইতিমধ্যেই ১০ জন শ্রোতা নির্বাচিত। তাঁদের বাড়ি গিয়ে দলবদল নিয়ে গপ্পো শোনাবেন মীর।
মীর আফসার আলির মজ্জায় মজ্জায় এই কথাগুলো মিশে গিয়েছে। তিনি জানেন, কী ভাবে মানুষের মন ভোলাতে হয়। কখনও কটাক্ষে। কখনও রসিকতায়। কখনও বা সরাসরি আঘাত করে। তাঁর মতো মনচোরা বাংলায় সত্যিই হাতেগোনা। আর তাই রেডিও ছেড়ে যেদিন তিনি ‘গল্পদাদু’ হয়ে আসরে নামলেন শ্রোতারা গোগ্রাসে গিলল তাঁর বলা গল্প। তারই ফলপ্রকাশ শনিবার সন্ধেয়। ১৪ মাসে ১০ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার ‘গপ্পো মীরের ঠেক’-এর। তারই উদযাপন এক অভিজাত ক্লাবে। উপস্থিত সস্ত্রীক সন্দীপ রায়, দামিণী বেণী বসু, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, মানসী সিনহা, রজতাভ দত্ত, আরজে অয়ন্তিকা-সহ বাংলার তাবড় তারকা। সেখানেই স্বভাবসিদ্ধ রসিকতা, যেন মেয়ের বিয়ে দিয়ে উঠলেন! তারপর উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘খুব ইচ্ছে, দৃষ্টিহীন শিশু আর বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে গল্প শোনাব। যাঁদের কেউ নেই তাঁদের জন্য ‘গপ্পো মীরের ঠেক’ আছে।’’
সাল ২০২৩-এর ২৩ জানুয়ারি। মাত্র এক বছর আগের গল্প। এই দিন মেয়ের জন্মদিন। প্রতি বছর একমাত্র সন্তানকে তার বিশেষ দিনে কিছু না কিছু দেন। সেবার বলেছিলেন, এবার আর কোনও পার্থিব কিছু নয়। এমন কিছু মেয়েকে দেবেন যা তাঁর অবর্তমানেও তাঁর ছায়া হয়ে থেকে যাবে। শিল্পীরা দূরদৃষ্টি হন। তাই কি এক বছর আগেই মীর বুঝেছিলেন, কালজয়ী কিছু করতে চলেছেন? আজকাল ডট ইন প্রশ্ন রাখতেই তাঁর জবাব, ‘‘একটুও বুঝিনি। ভয় ছিল। কিন্তু কিচ্ছু করার ছিল না। রেডিও ছাড়ার পর মুহূর্ত থেকে প্রাণটা যেন গলার কাছে ঠেকেছিল। অসহ্য দমবন্ধ অবস্থা। অবসাদে ভেঙে পড়েছি। তখনই ঠিক করি কিছু করতে হবে।’’ কিন্তু কী করবেন তিনি? নিজেকে বিশ্লেষণ করে বুঝেছিলেন, তিনি খুব ভাল গল্প বলতে পারেন। তাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। সঙ্গী তাঁর অতিপরিচিত কয়েকজন।
নিজের যাত্রাপথ বর্ণনা করতে গিয়ে মীরের কটাক্ষ, ‘‘যাঁরা আমায় ভরসা করে পাশে থেকেছেন তাঁদের কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞ। তবে সেই সব মানুষদের ধন্যবাদ জানাব আরও বেশি করে যাঁরা ভরসা করতে পারেননি। তাঁরা ভরসা করেননি বলেই আমরা বেশি খেটেছি। এবং তার এই ফলাফল।’’ ১৪ মাসে অসংখ্য সাহিত্যনির্ভর গল্প শুনিয়েছেন। অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অপরাজিত আঢ্য, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, অনিন্দ্য সেনগুপ্ত, গৌরব চক্রবর্তী এবং আরও অনেকে তাঁর গল্পের আসরে যোগ দিয়েছেন। মীরের কথায়, এঁদের অনেকে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করে গিয়েছেন। এই ঋণ শুধবার নয়।
২০২৪-এ ‘গপ্পো মীরের ঠেক ২’ আরও অনেক কিছু নতুন আনছে। যেমন, ২০২৪-এ ২৪টি নতুন গল্প আসছে। যার শুরু ১৩ এপ্রিল রাত ৯টায়। প্রতি শনিবারের এই আসরে শোনা যাবে উত্তরাধিকার, পদ্মানদীর মাঝি, দত্তা, বিষবৃক্ষ, কালবেলা, কাউরি বুড়ির মন্দির, আদর্শ হিন্দু হোটেল, কালপুরুষ, জয়ন্ত মানিক, চরিত্রহীন, আমি পিশাচ, দস্যু মোহন, শার্লক হোমস, পথের পাঁচালি ইত্যাদি। আর থাকবে শ্রোতাদের বাড়িতে গিয়ে গল্প শোনানো! হ্যাঁ, এটিও করতে চলেছেন মীর। ইতিমধ্যেই ১০ জন শ্রোতা নির্বাচিত। তাঁদের বাড়ি গিয়ে দলবদল নিয়ে গপ্পো শোনাবেন মীর।
