আজকাল ওয়েবডেস্ক: তিনি যদি ভিনেশ ফোগাত হতেন, তাহলে সর্বসমক্ষে ক্ষমা চাইতেন। যড়যন্ত্র থিওরি উস্কে না দিয়ে দেশবাসীর কাছে আন্তরিক ভাবে দুঃখপ্রকাশ করতেন। দ্ব্যর্থহীন ভাবে জানিয়ে দিলেন লন্ডন অলিম্পিকের পদক জয়ী কুস্তিগির যোগেশ্বর দত্ত। 

লন্ডন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পান যোগেশ্বর। অন্যদিকে প্যারিস অলিম্পিকে একদিনে তিন কুস্তিগিরকে মাটি ধরানোর পরেও ফাইনালের দিন সকালে ভিনেশ জানতে পারেন, তাঁর ওজন বেশি। ওজন বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে বাতিল করে দেওয়া হয়। তাঁর কাছ থেকে রুপোর পদকও কেড়ে নেওয়া হয়। 

একটি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে যোগেশ্বর দত্ত বলেন, ''অলিম্পিক থেকে বাতিল করা হয় ভিনেশকে। গোটা জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল ভিনেশের। ওর ভুলেই অলিম্পিক থেকে বাতিল হতে হয়েছে। কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে ভিনেশ যড়যন্ত্রের কথা বলে। এমনকী প্রধানমন্ত্রীকেও দোষ দিতে ছাড়েনি। সবাই জানে ভিনেশকে বাতিল করাটা সঠিক সিদ্ধান্তই ছিল। নির্দিষ্ট ওজনের থেকে এক গ্রাম ওজন বেশি হলেও সংশ্লিষ্ট কুস্তিগিরকে বাতিল করে দেওয়া হয়।'' 

ভিনেশ ন্যায়বিচারের জন্য ক্রীড়া আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেখানেও তাঁর আবেদন নস্যাৎ হয়ে যায়। তার পরেও ভিনেশ থেমে থাকেননি।  আইওএ-র দিকে আঙুল তুলে বলেন, তাদের তরফ থেকে যথাযোগ্য আইনি সাহায্য করা হয়নি তাঁকে। ভারত সরকার ও আইওএ-র আরও তৎপরতা দেখানো উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন ভিনেশ। 

যোগেশ্বর অন্য মেরুতে অবস্থান করছেন ভিনেশের সঙ্গে। পুরো বিষয়টার মধ্যেই তিনি ভিনেশেরই দোষ দেখছেন। আর ব্যর্থতার পুরো দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়ে ভিনেশেরই উচিত ছিল ক্ষমা চেয়ে নেওয়া।