আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন দীপ্তি। দাদা সুমিত শর্মাই ছিলেন তাঁর অনুপ্রেরণা। উত্তরপ্রদেশের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে খেলেছেন সুমিত। দাদার সঙ্গে অনুশীলনে যেতেন বোনও। 

একদিন অনুশীলনের সময় দীপ্তির কাছে চলে আসে বল। দূর থেকে তাঁর দাদার হাতে বলটি ছুড়ে দেন দীপ্তি শর্মা। মাত্র ১২ বছর বয়সের বোনের হাতের জোর দেখে বিস্মিত হন দাদা। 

সেই দীপ্তি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে কব্জির জোর দেখিয়ে ৫৮ রান করেন। বল হাতে নেন  পাঁচ-পাঁচটি উইকেট। এরকম স্বপ্নের ফাইনাল খেলতে চান সবাই। প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ হন দীপ্তি।  
 মহিলাদের আইপিএলের নিলামে সেই দীপ্তির দাম উঠল ৩.২ কোটি টাকা। এখনও পর্যন্ত লিগের অন্যতম সফল খেলোয়াড় দীপ্তি। ২৫টি ম্যাচ থেকে তাঁর সংগ্রহ ৫০৭ রান ও ২৭টি উইকেট। আসন্ন টুর্নামেন্টে দীপ্তির দিকে নজর থাকবে সবার।  

দিল্লি ক্যাপিটালস ও ইউপি ওয়ারিয়র্সের মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছিল দীপ্তিকে নিয়ে। শেষ পর্যন্ত রাইট টু ম্যাচ কার্ড প্রয়োগ করে ইউপি ওয়ারিয়র্স দলে নেয় দীপ্তি শর্মাকে। এই  প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দীপ্তি শর্মারই দাম উঠেছে সব থেকে বেশি।

নিলামের আগে ইউপি ওয়ারিয়র্স ছেড়ে দিয়েছিল দীপ্তিকে। সেই দীপ্তিই ফিরলেন ইউপিতে। আগে তাঁর দাম ছিল ২.৬ কোটি। এবার অতিরিক্ত ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দীপ্তি ফিরলেন ইউপি ওয়ারিয়র্সে। ভারতীয় মেয়েরা বিশ্বকাপ জেতার পর মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে। একাধিক আনক্যাপড প্লেয়ার প্রচারের আলোয় চলে এসেছে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বসেছে মেয়েদের আইপিএলের নিলামের আসর। ১৪২ জন আনক্যাপড প্লেয়ার রয়েছেন পুলে‌। নিলামে প্রথম ওঠেন অ্যালিসা হিলি। তাঁর বেস প্রাইস ৫০ লক্ষ।

কিন্তু এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হিলি অবিক্রিত অবস্থায় থেকে যান। নিউজিল্যান্ডের সফি ডিভাইনকে নিয়ে নিলাম-যুদ্ধ চলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও গুজরাট জায়ান্টসের মধ্যে। শেষপর্যন্ত ২ কোটিতে সফি ডিভাইনকে দলে নেয় গুজরাট জায়ান্টস। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৩ কোটিতে দলে নেয় নিউজিল্যান্ডের অ্যামেলিয়া কেরকে। রেণুকা সিংয়ের বেস প্রাইস ছিল ৪০ লক্ষ টাকা। ৬০ লক্ষে তাঁকে নেয় গুজরাট জায়ান্টস। সফি একলেস্টনকে আবার দিল্লি ক্যাপিটালস ৮৫ লক্ষে দলে নেয়। মেগ ল্যানিংকে নিয়ে জোর লড়াই ছিল দিল্লি ক্যাপিটালস ও ইউপি ওয়ারিয়র্সের মধ্যে। শেষমেশ ইউপি ওয়ারিয়র্স ১.৯ কোটির বিনিময়ে মেগ ল্যানিংকে নেয়। বিশ্বকাপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাপ্টেন লরা উলভার্ট সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন।

তিনি যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, ততক্ষণ প্রোটিয়া ব্রিগেডের জয়ের স্বপ্ন ছিল। কিন্তু আমনজ্যোৎ কৌর ধরেন লরা উলভার্টের ক্যাচ। সেই ক্যাচের সঙ্গে তুলনা টানা হয়েছিল তিরাশির বিশ্বকাপ ফাইনালে কপিলের ক্যাচ। ২০২৪-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে সূর্যের ক্যাচও এসে গিয়েছিল তুলনায়। সেই উলভার্টকে ১.১০ কোটিতে কিনে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। তাঁর বেস প্রাইস ছিল ৩০ লাখ।