আজকাল ওয়েবডেস্ক: কথায় বলে, বাপ কা বেটা, সিপাহি কা ঘোড়া। বীরেন্দ্র শেহবাগের পথেই কি এবার হাঁটতে চলেছেন তাঁর ছেলে আর্যবীর? বাবা নার্ভাস নাইন্টিতে দাঁড়িয়ে ছক্কা হাঁকাতেন। প্রতিপক্ষের যে কোনও বোলার তাঁকে দেখলে কাঁপতে থাকত। তাঁর ও শচীনের কথোপকথন মিথ হয়ে গিয়েছে এখন। ২০০৩ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে, শচীন তাঁকে বলেছিলেন, ''চল মারনা হ্যায় উনকো।''
ক্রিকেট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহল বলবে, এ তো সবে শুরু। এখনও দীর্ঘ পথ চলা বাকি আর্যবীরের। সেই আর্যবীর দিল্লি প্রিমিয়ার লিগে শুরুতেই চমকে দিয়েছেন। তরুণ ক্রিকেটারদের আদর্শ মঞ্চ হিসেবে প্রতিভাত হতে পারে এই দিল্লি প্রিমিয়ার লিগ।
চলতি মরশুমে চমকপ্রদ কিছু পারফরম্যান্স দেখা গিয়েছে তরুণ ক্রিকেটারদের কাছ থেকে। বিশেষ করে উঠতি ক্রিকেটারদের কাছ থেকে।
বীরেন্দ্র শেহবাগের ছেলে আর্যবীর নজর কেড়ে নিয়েছেন ইতিমধ্যেই। সেন্ট্রাল দিল্লি কিংসের হয়ে খেলছেন আর্যবীর। নবদীপ সাইনির ডেলিভারিতে দুটো পরপর চার মারেন তিনি। ১৬ বলে ২২ রান করেন তিনি। কোচবিহার ট্রফিতে এর আগে সেঞ্চুরিও করেন আর্যবীর।
দিল্লি প্রিমিয়ার লিগে নিজের অভিষেক প্রসঙ্গে আর্যবীর জানান, ডিপিএলে ইস্ট দিল্লি রাইডার্সের বিরুদ্ধে নামার আগে জানতে পারেন যশ ধূল দলীপ ট্রফিতে নামবেন বলে খেলতে পারবেন না এই ম্যাচ।
আর্যবীর বলেন, ''শেষ ম্যাচের পরে জানতে পারি পরের ম্যাচ আমাকে খেলতে হবে। গত ম্যাচে আমি ক্যাচ ধরেছিলাম। খেলার শেষে জন্টি (সিধু) ভাইয়া আমাকে বলেন, পরের ম্যাচটা আমাকে খেলতে হবে।
Virender Sehwag's son Aryavir's debut in the DPL. pic.twitter.com/rM4Cvu1xG9
— Mufaddal Vohra (@mufaddal_vohra)Tweet by @mufaddal_vohra
নিজের অভিষেক নিয়ে আর্যবীর জানান প্রথম দুটো বাউন্ডারি মারার পরে নার্ভ স্থির হয়। ২২ রান নিয়ে গর্ব করার মতো কিছু হয়নি। কিন্তু এই ম্যাচ থেকে তিনি বুঝতে পারেন টি-টোয়েন্টি লিগ কী হতে চলেছে।
আর্যবীর বলেছেন, ''প্রথম দুটো বাউন্ডারি হাঁকানোর পরে আমি আত্মবিশ্বাস ফিরে পাই। কিন্তু ইনিংস বেশিক্ষণ টানা যায়নি। পরের ম্যাচ আমি বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকার চেষ্টা করব।''
আর্যবীরের বাবা বীরেন্দ্র শেহবাগ। ফলে তাঁর পরামর্শ ছেলেকে সাহায্য করবেই। বাবার পরামর্শ প্রসঙ্গে ছেলে বলেন, ''যব ফাদার সাহেব বোলেঙ্গে তো সুন্না তো পাড়েঙ্গে হি।''
আর্যবীর আরও বলেন, ''আমাদের উপর যে নজর রাখা হচ্ছে, আমাদের মনিটর করা হচ্ছে, সে সম্পর্কে আমার অবগত। স্কাউটদের নজর রয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে আমরা বেশি ভাবনাচিন্তা করছি না, বিশেষ করে যখন মাঠে আছি। আমরা ম্যাচের দিকেই মনোনিবেশ করছি।'' এখনও অনেক দূর যেতে হবে আর্যবীরকে। অনেক পথচলা বাকি রয়েছে তাঁর। এখনকার প্রজন্ম বীরেন্দ্র শেহবাগকে ব্যাট করতে দেখেনি। দেখলে বুঝত কী বিধ্বংসী ব্যাটার ছিলেন তিনি। শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের সাজঘরে আক্রমণ পৌঁছে দিতেন তিনি।
আরও পড়ুন: সতর্ক থাকুন, এশিয়া কাপে আছড়ে পড়বে ও, ভারত-সহ বিপক্ষকে হুমকি দিলেন পাক কোচ
