আজকাল ওয়েবডেস্ক: একই দলের জার্সিতে খেলবেন বিরাট কোহলি এবং বাবর আজম? ভারত-পাকিস্তানের দুই মহাতারকাকে বাইশ গজের দুই প্রান্তে দেখা যেতে পারে। হঠাৎই এই সম্ভাবনা উদ্রেক হয়েছে। না, আইপিএল নয়। আরসিবিতে যাচ্ছেন না পাকিস্তানের নেতা। তাহলে কীভাবে? ফোর্বসের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ফিরতে পারে আফ্রো-এশিয়া কাপ। ২০০০ এর মাঝামাঝি এশিয়ান একাদশ এবং আফ্রিকান একাদশের মধ্যে চ্যারিটি ম্যাচের সিরিজ খেলা হত। সেই টুর্নামেন্টের নামই ছিল আফ্রো-এশিয়া কাপ। ২০০৫ সালে প্রথম এই টুর্নামেন্ট হয়। ২০০৭ সালে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সংস্করণ হয়। অতীতে একই দলে খেলেন বীরেন্দ্র শেহবাগ, ইরফান পাঠান, ইনজামাম উল হক, জাহির খান, শোয়েব আখতার, অনিল কুম্বলে, শহিদ আফ্রিদি। আফ্রিকার একাদশে খেলতে দেখা যায় শন পোলক, জ্যাক কালিস, তাতেন্দা তাইবুকে।
আফ্রিকান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুমোদ দামোদর বলেন, 'এই টুর্নামেন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই দুঃখিত। আফ্রিকান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে কোনও মোমেন্টাম ছিল না। তবে আবার সেই নিয়ে ভাবনা শুরু হয়েছে। টুর্নামেন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে আমাদের সদস্যরাই হতাশ। আফ্রিকার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল।' আবার আফ্রো-এশিয়া কাপ চালু হলে, বিরাট কোহলি এবং বাবর আজমের একই দলে খেলার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। জুটি বেঁধে ব্যাট করতেও দেখা যেতে পারে। একইসঙ্গে বল হাতে উইকেটের দুই প্রান্তে জুটি বাঁধতে পারে যশপ্রীত বুমরা এবং শাহিন আফ্রিদি। ২০১২-১৩ সালে শেষবার দুই দল দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছে। ২০০৭ সালের পর থেকে লাল বলের ক্রিকেটে মুখোমুখি হয়নি ভারত-পাকিস্তান। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে আবার আফ্রো-এশিয়া কাপ শুরু করার কথা চলছিল। এই নিয়ে আলোচনা হয় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান জয় শাহ, আফ্রিকান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সুমোদ দামোদর এবং আশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের ডেভেলপমেন্ট হেড মাহিন্দ্রা ভাল্লিপুরামের মধ্যে।
