আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিজয় হাজারে ট্রফির ম্যাচ খেলতে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে প্রত্যাবর্তন হতে পারে বিরাট কোহলির।

কিন্তু চেজ মাস্টারের ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন চোখের সামনে দেখা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন সমর্থকরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, নিরাপত্তাজনিত কারণে বিজয় হাজারে ট্রফির ম্যাচগুলি দর্শকশূন্যভাবেই আয়োজন করার নির্দেশ দিতে পারে কর্ণাটক সরকার।

খবরে বলা হয়েছে, কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দর্শক ছাড়া ম্যাচ আয়োজনের নির্দেশ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার।

যদিও কেএসসিএ সাধারণ দর্শকদের জন্য দু’টি স্ট্যান্ড খুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করেছিল, যাতে আনুমানিক ২,০০০ থেকে ৩,০০০ দর্শক প্রবেশ করতে পারতেন, তবে সেই প্রস্তাবে আপত্তি জানায় প্রশাসন।

রাজ্য কর্তৃপক্ষের মতে, নিরাপত্তা, নিয়ম মানা এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ের এখনও পর্যন্ত কোনও মীমাংসা হয়নি।

বিশেষ করে ছুটির মরশুম চলাকালীন স্টেডিয়াম খুলে দিলে নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে। মূল উদ্বেগের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ম্যাচে অংশ নেওয়া তারকাদের উপস্থিতি।

বিরাট কোহলি ও ঋষভ পন্থ দিল্লির হয়ে প্রথম দু’টি ম্যাচ খেলবেন। এই খবরে কেএসসিএ বিজয় হাজারে ট্রফির ম্যাচ আলুর থেকে ভেন্যু সরিয়ে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আনে।

যাতে লজিস্টিক সমস্যা এড়ানো যায়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের ফলেই বেঙ্গালুরুর ব্যস্ত ব্যবসায়িক এলাকায় ভিড় ও আইনশৃঙ্খলা সামলানো নিয়ে দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে।

কেএসসিএ-র আনুষ্ঠানিক অনুরোধের পর সোমবার একটি সরকারি কমিটি স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে। পুলিশ, পূর্ত দপ্তর এবং দমকল দপ্তরের প্রতিনিধিরা ওই কমিটিতে ছিলেন।

মঙ্গলবার বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও সূত্রের দাবি, এই রিপোর্ট সরকারের বর্তমান অবস্থানে খুব একটা পরিবর্তন আনবে না।

দর্শকদের প্রবেশের বিষয়ে প্রশাসন এখনও যথেষ্ট সতর্ক মনোভাব নিয়েই এগোচ্ছে। সোমবার গভীর রাতে বেঙ্গালুরু পৌঁছেছেন বিরাট কোহলি ও ঋষভ পন্থ।

২৪ ডিসেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে দিল্লির প্রথম বিজয় হাজারে ট্রফি ম্যাচের আগে তাঁরা দলের সঙ্গে অনুশীলনে নামবেন বলে জানা গেছে।

এই ম্যাচটি চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে কোহলির প্রথম উপস্থিতি হতে চলেছে ৪ জুনের মর্মান্তিক ঘটনার পর। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর আইপিএল জয়ের উদযাপনের সময় পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যু এবং বহু মানুষ আহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনার পর থেকেই কার্যত বড় ম্যাচ আয়োজনের বাইরে রয়েছে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম।

বিসিসিআইকে মহিলা বিশ্বকাপের পাঁচটি ম্যাচ, যার মধ্যে ফাইনালও ছিল, অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে এই ভেন্যুকে।

প্রাক্তন ভারতীয় পেসার ভেঙ্কটেশ প্রসাদ কেএসসিএ-র সভাপতি হওয়ার পর বিচারপতি জন মাইকেল ডি’কুনহা রিপোর্টে চিহ্নিত নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যাগুলি সমাধানের চেষ্টা জোরদার হয়েছে।

রিপোর্টে বড় জমায়েতের জন্য স্টেডিয়ামটিকে বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। যদিও উপমুখ্যমন্ত্রী ডি.কে শিবকুমার প্রকাশ্যে চিন্নাস্বামীতে ক্রিকেট ফেরানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন।

তবুও আপাতত গেট খুলে দেওয়ার ঝুঁকি নিতে নারাজ প্রশাসন। বলা হচ্ছে, নিরাপত্তাই বর্তমানে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সেই কারণে বেঙ্গালুরুর ক্রিকেটপ্রেমীদের হয়তো দূর থেকেই কোহলির ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন উপভোগ করতে হবে।