আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ভাল করে কথা বলতে পারছেন না বিনোদ কাম্বলি। ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার। এ কথা জানিয়েছেন কাম্বলির ভাই বীরেন্দ্র। 


গত বছরের ডিসেম্বরে মূত্রনালির সংক্রমণ ও শরীরে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কাম্বলি। কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িও ফেরেন। এরপর বেশ কিছু অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখাও গিয়েছিল। কিন্তু বোঝা গিয়েছিল কাম্বলি পুরো সুস্থ নন। এক অনুষ্ঠানে কাম্বলির ভাই জানিয়েছেন, এখনও পুরো সুস্থ নন কাম্বলি। আপাতত বান্দ্রার বাড়িতে রয়েছেন কাম্বলি। কিন্তু ঠিক ভাবে কথা বলতে পারছেন না তিনি।

 

আরও পড়ুন:‌ এশিয়া কাপে কেমন হতে পারে ভারতের প্রথম একাদশ?‌ জানিয়ে দিলেন সানি ...


কাম্বলির ভাই বীরেন্দ্র বলেছেন, ‘‌এখন বাড়িতেই রয়েছে দাদা। স্থিতিশীল হলেও চিকিৎসা চলছে। কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছে। সুস্থ হতে এখনও সময় লাগবে। তবে কাম্বলি চ্যাম্পিয়ন। ঠিক সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে। আশা করছি দ্রুতই হাঁটাচলা ও দৌড়াদৌড়ি করতে পারবে দাদা। দাদার উপর বিশ্বাস আছে আমার। আশা করছি দাদাকে আবার মাঠে দেখা যাবে খেলা দেখতে।’‌


দাদার সুস্থতার জন্য সবাইকে প্রার্থনা করার আবেদনও করেছেন কাম্বলির ভাই। বলেছেন, ‘‌দাদা এক সময় ১০ দিন রিহ্যাবে ছিল। তখন একাধিক শারীরিক পরীক্ষা হয় দাদার। টেস্টের রেজাল্ট কিন্তু ঠিকই ছিল। কিন্তু এখনও ঠিকভাবে হাঁটতে পারে না দাদা। ফিজিওথেরাপি চলছে। কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছে। তবে আগের থেকে ভাল আছে। সবাইকে বলব দাদার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করুন। আপনাদের ভালবাসা ও সমর্থন দাদাকে সুস্থ করে তুলবে।’‌ 

 

আরও পড়ুন:‌  বুচি বাবুতে নেমেই শতরান, ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে পৃথ্বী যা বললেন জানলে চমকে যাবেন...


শুধু শারীরিক নয়, আর্থিক সমস্যাতেও জর্জরিত বিনোদ কাম্বলি। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের কথাও চলছিল। কিন্তু স্ত্রী আন্দ্রেয়া স্বামীর কথা ভেবেই বিচ্ছেদ নেননি।  
প্রসঙ্গত, দেশের হয়ে ১০৪ একদিনের ম্যাচ ও ১৭ টেস্ট খেলেছেন কাম্বলি। যথেষ্ট ভাল পারফরম্যান্সও ছিল। কিন্তু চোট ও বেপরোয়া জীবনযাপন শেষ করে দেয় কাম্বলির কেরিয়ার। 

টেস্টে কাম্বলির রান ছিল ১০৮৪। চারটি শতরানের মধ্যে ছিল দুটি দ্বিশতরানও। সর্বোচ্চ রান ২২৭। একদিনের ক্রিকেটে ২৪৭৭ রান করেছেন কাম্বলি। শতরান দুটি। সর্বোচ্চ রান ১০৬। 

সেই কাম্বলিই ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ঠাণের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মূত্রনালির সংক্রমণ নিয়ে। বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি বাড়ি ফেরেন। রিহ্যাবেও থাকতে হয়েছিল কাম্বলিকে। ওই সময় কাম্বলির বন্ধু মার্কাস কাউকো বলেছিলেন, ‘‌মূত্রনালিতে সংক্রমণ ছিল ওর। সেই কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।’‌ তখন মার্কাস জানিয়েছিলেন, ‘‌কাম্বলির বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। সেই কারণে অন্তত এক মাস হাসপাতালে থাকতে হবে কাম্বলিকে। ওর চিকিৎসার খরচ যখন অন্য কেউ দিতে রাজি, তখন চিকিৎসা করিয়ে নেওয়াই ভাল।’‌ 


প্রসঙ্গত, ৫৩ বছরের কাম্বলি অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে এক সমর্থক হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। ঠাণের হাসপাতালটি ওই সমর্থকেরই। আজীবন কাম্বলিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা করাবে বলে তখনই জানিয়ে দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল।