আজকাল ওয়েবডেস্ক: আরও একবার জ্বলে উঠল বৈভব সূর্যবংশীর ব্যাট। এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্সে ভারতীয় এ দলের হয়ে নেমে আরও একটি ধুন্ধুমার শতরান। বিপক্ষের বোলিংকে রেয়াত করেননি। দোহায় নেমেই বিধ্বংসী মেজাজে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে মাত্র ৩২ বলে একশো সম্পূর্ণ করেন। কয়েক মাস ধরে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন ক্রিকেটের বিস্ময় বালক। ইতিমধ্যেই তাঁকে জাতীয় দলে নেওয়ার দাবি উঠতে শুরু করেছে। শচীন তেন্ডুলকরের সঙ্গে তুলনা টানা হচ্ছে। মাত্র ১৪ বছর বয়সে দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পান মাস্টার ব্লাস্টার। বৈভবের ক্ষেত্রেও তেমনই ভাবা হচ্ছে। এদিন মাত্র ১৭ বলে অর্ধশতরানে পৌঁছে যান। শেষপর্যন্ত ৪২ বলে ১৪৪ রান করে আউট হন ১৪ বছরের উঠতি তারকা। ইনিংসে ছিল ১৫টি ছয় এবং ১১টি চার। তাঁর ব্যাটে ভর করে ২৫০ রানের গণ্ডি পেরোয় ভারত। ২০ ওভারের শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রান তোলে দল।
২০০৮ সালে যখন আইপিএল শুরু হয়, তখনও জন্মই হয়নি সূর্যবংশীর। ২০১১ সালে তিনি জন্মান। আইপিএলে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে সেঞ্চুরি করেন সূর্যবংশী। ইংল্যান্ডে খেলতে গিয়ে গড়েন নতুন রেকর্ড। ভারতের কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসাবে কোনও বিদেশি দলের বিরুদ্ধে উইকেট নেন ১৪ বছরের বৈভব। বিশ্বক্রিকেটে সবচেয়ে কম বয়সে উইকেট নেওয়া বোলারদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে তিনি। অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে প্রথম ইউথ টেস্টে শতরান করেন ১৪ বছরের বিস্ময় বালক। ৭৮ বলে ১০০ রান সম্পূর্ণ করেন। শেষপর্যন্ত ৮৬ বলে ১১৩ রানে আউট হন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৮টি ছয় এবং ৯টি চার। বেদান্ত ত্রিবেদীর সঙ্গে ১৫২ রানের জুটি বাঁধেন তিনি। হেডেন স্কিলারের বলে অ্যালেক্স লি ইয়ংয়ের হাতে ধরা পড়েন। ক্রিকেটের সব ফরম্যাটে নজর কাড়েন বৈভব। ইউথ একদিনের ক্রিকেটে উন্মুক্ত চাঁদের সবচেয়ে বেশি ছয় মারার রেকর্ডও ভাঙেন সূর্যবংশী। উন্মুক্ত ৩৮টি ছক্কা মেরেছিলেন যুব ওয়ানডেতে। বৈভব সেখানে ৪১টি ছক্কা হাঁকান ১০টি ইনিংসে। তাঁর ছক্কা মারার ক্ষমতা দেখে দেশ অবাক। প্রাক্তন ক্রিকেটাররা তো বটেই, এখনকার ক্রিকেটাররাও তাঁকে দেখে অবাক।
