আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৪০ গোলে জিতলে তবেই জাতীয় হকি চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছতে পারত তামিলনাড়ু। অতি বড় সমর্থকও এমন পরিস্থিতিতে আশাবাদী হবেন না। কিন্তু জাতীয় হকি প্রতিযোগিতায় গ্রুপ সি-তে তামিলনাড়ু ৪৩-০ গোলে হারাল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে। আর এই বিশাল ব্যবধানে জয়ের পরে শেষ আটে পৌঁছে গেল তামিলনাড়ু।

অধিনায়ক সেলভাম কার্তি তামিলনাড়ুর হয়ে ১৩টি গোল করেন। বিপি সোমানা এবং সুন্দরপান্ডি ৯টি করে গোল করেছেন। তামিলনাড়ুর এই বিশাল জয়ের পরে দেশের হকির মান নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন তুলে দিয়েছে টুর্নামেন্টের মান নিয়েও। ২০১৯ সালের পরে প্রথম বার জাতীয় হকি প্রতিযোগিতায় নামল আন্দামান। জাতীয় হকি প্রতিযোগিতায় খেলার মতো যোগ্যতা তাদের রয়েছে বলে মনেই হয়নি।

তামিলনাড়ুর কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পরে আন্দামানের কোচ শাহু সুরজু বলেন, ''বেশি বৃষ্টি হয়। তাই আমাদের অ্যাস্ট্রোটার্ফ নেই। ঘাসের মাঠেও অনুশীলন করতে পারি না। খেলোয়াড়দের বয়স ১৮ থেকে ২৪-এর মধ্যে। দুঃস্থ পরিবার থেকে উঠে এসেছে। বিভিন্ন দ্বীপে ওরা থাকে। একসঙ্গে ওদের পাওয়াটাও কঠিন। হকি খেলার প্রতি ওদের ঝোঁক রয়েছে। ভাল পরিকাঠামো পেলে ওরা আরও ভাল খেলবে।'' 

তামিলনাড়ুর কাছে ৪৩-০ গোলে হারের আগে মধ্যপ্রদেশের কাছে ২৯ গোল হজম করেছে আন্দামান। অন্ধ্রপ্রদেশও তাদের ১৩-০ গোলে মাটি ধরিয়েছে। এত বড় ব্যবধানে হারের পরে ছেলেদের মানসিক অবস্থা কেমন? আন্দামানের কোচ বলছেন, ''ওরা এখনও পরিণত হয়নি। অনেকে তো এরকম টুর্নামেন্টে নামেইনি। হকি ইন্ডিয়ার কাছে আমরা অনুরোধ করেছি অ্যাস্ট্রো টার্ফের জন্য। এবার আরও জোরালো ভাবে আবেদন করব।''