আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৫ বিশ্বকাপ জয় ভারতের মহিলা ক্রিকেটের জন্য মাইলস্টোন। রবিবার নভি মুম্বইয়ে হরমনপ্রীতদের কীর্তি ভারতীয় ক্রিকেটকে এক অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। সুনীল গাভাসকর মনে করেন, এই জয় গোটা বিশ্বকে বার্তা দেবে। বাকি দলগুলোর একচেটিয়া রাজত্ব যে শেষ, সেটা বোঝার সময় হয়ে গিয়েছে। তবে অনেকেই হরমনপ্রীতদের এই জয়কে ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ের সঙ্গে তুলনা করছে। সেটা অবশ্য মানতে চান না কিংবদন্তি। গাভাসকর বলেন, 'অনেকেই ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ের সঙ্গে মেয়েদের বিশ্বকাপ জয়ের তুলনা করছে। আগের পর্বগুলোতে  ছেলেদের দল কখনও গ্রুপ পর্বের বাঁধা পেরোতে পারেনি। তাই নকআউট পর্ব থেকে সবকিছুই তাঁদের কাছে নতুন ছিল। সেখানে মেয়েদের রেকর্ড ভাল ছিল। বিশ্বজয়ের আগে দু'বার ফাইনালে উঠেছিল। ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয় দেশে ক্রিকেটের পরিস্থিতি পাল্টে দেয়। একইসঙ্গে বিশ্বেও। এবারও তেমনই হবে। যেসব দেশে ভারতের আগে মেয়েদের ক্রিকেট চালু হয়েছে, তাঁরা বুঝবে তাঁদের আধিপত্য শেষ হয়ে গিয়েছে। ৮৩ বিশ্বকাপ জয় উঠতি ক্রিকেটারদের সাহায্য করেছে। ছেলেদের ক্রিকেট খেলতে উৎসাহ যোগায় অভিভাবকরা। আইপিএল সেটাকে অন্য পর্যায় নিয়ে যায়। সেই কারণেই শুধুমাত্র মেট্রো শহর নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রিকেটাররা জাতীয় দলে খেলে।' 

রবিবার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান তোলে ভারত। ৮৭ রান করেন শেফালী বর্মা। দীপ্ত শর্মা করেন ৫৮। একার হাতে লড়াই করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক লরা উলভার্ডট। ১০১ রান করে আউট হন। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি। বাকিরা ভারতীয় স্পিনের সামনে আত্মসমর্পণ করে। পাঁচ উইকেট নেন দীপ্তি। ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ভিকট্রি ল্যাপ নেন হরমনপ্রীতরা। সেই উৎসবে যোগ দেন ঝুলন গোস্বামী এবং মিতালি রাজ। আনন্দাশ্রুতে ভেসে যান দুই প্রাক্তন অধিনায়ক। ভারতের মেয়েদের এই জয়ের সাক্ষী ছিলেন রোহিত শর্মা। পরিবার নিয়ে উপস্থিত ছিলেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন নেতা। আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তিনিও। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মেয়েদের বিশ্বকাপজয়ী দলের।