আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফোনে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলায় আপত্তি ছিল বাবার। সেই 'অপরাধে' ১৮ বছরের মেয়েকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারল বাবা৷ এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত, ৫০ বছর বয়সী বাবা নূর মহম্মদকে পুলিশ আটক করেছে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম রুবি। জানা গিয়েছে, সুতনারা গ্রামের বাসিন্দা রুবি তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে ফোনে নিয়মিত কথা বলতেন। তা নিয়ে বাবা নূর মহম্মদের সঙ্গে তাঁর প্রায়শই ঝগড়া হত। পুলিশ সুপার রাজেশ দ্বিবেদী এই খবর জানিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, মেয়ের ফোন-আসক্তিতে ক্ষিপ্ত হয়ে নূর মহম্মদ সোমবার তাঁর ফোনটি ভেঙে ফেলে দেন। মঙ্গলবার দুপুরে ফের এই নিয়েই বাবা-মেয়ের মধ্যে তুমুল কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একটা সময় পর দুজনের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়৷ 

তর্ক চরমে পৌঁছলে বাবা নূর মহম্মদ একটি লাঠি নিয়ে মেয়ের ওপর চড়াও হন এবং তাঁকে মারতে শুরু করেন। লাঠির আঘাতেই রুবির মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং রুবির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনার পর থেকেই ধরা পড়ার ভয়ে নূর মহম্মদ গ্রামে লুকিয়ে ছিলেন। পুলিশ তাঁকে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করেছে। বর্তমানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর জেলায় নৃশংস ঘটনা। মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীর উপর অত্যাচার চালাচ্ছিল ছেলে। ৬৫ বছরের মা সেই কাজে বাধা দিতে গেলে তাঁকেই শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার। আনুমানিক রাত দশটা নাগাদ মির্জাপুরের বাঘেরা কালান গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত যুবকের নাম রামসুরত বিন্দ। খবর অনুযায়ী সেদিন রাতে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে কোনও কারণে চরম বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এরপর অভিযুক্ত স্ত্রী সুনীতা দেবীকে মারধর শুরু করে। শুধু তাই নয় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে আটকাতে গেলে তাঁদের সঙ্গেও চরম খারাপ ব্যবহার করতে থাকে রামসুরত। 

জানা গিয়েছে ঠিক সেই সময়ে রামসুরতের মা চামেলিয়া দেবী (৬৫) তাঁর ছেলের এই অত্যাচারের প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, এরপরেই রামসুরত তাঁর মাকে মারতে শুরু করে। এরপর সে তাঁর শ্বাসরোধ করে দেয়। ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান বৃদ্ধা। এরপর পরিবারের অন্য সদস্যরা দ্রুত চামেলিয়া দেবীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ঘটনার জেরে বৃদ্ধার আরেক ছেলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। চামেলিয়া দেবীর ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে জিগনা থানায় রামসুরতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবারই অভিযুক্ত রামসুরতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে মৃতার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় এক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনা পুঙ্খনুপুঙ্খ খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷