ভারতের অধিকাংশ পরিবারের জন্য প্রথম বাড়ি কেনা এখনও জীবনের সবচেয়ে বড় আর্থিক সিদ্ধান্তগুলির একটি। তবে সময়ের সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পদ্ধতিও বদলেছে।
2
11
পাঁচ গুণ বার্ষিক আয়’ নীতি। অর্থাৎ, যে সম্পত্তি আপনি কিনতে চাইছেন, তার দাম পরিবারের মোট বার্ষিক আয়ের পাঁচ গুণের বেশি হওয়া উচিত নয়। এর বেশি খরচ করলে প্রাথমিকভাবে তা সম্ভব বলে মনে হতে পারে, কিন্তু পরে ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়ে যায়, বিশেষ করে সুদের হার বেড়ে গেলে।
3
11
একটি ফ্ল্যাট বা বাড়ির হেডলাইন প্রাইসই পুরো খরচ নয়। রেজিস্ট্রেশন চার্জ, স্ট্যাম্প ডিউটি, আন্ডার-কনস্ট্রাকশন প্রপার্টির ক্ষেত্রে জিএসটি, ইন্টেরিয়র, মেইনটেন্যান্স ডিপোজিট ও বীমা—এসব মিলিয়ে মোট খরচে আরও ৮–১০% যোগ হয়।
4
11
প্রথমবার বাড়ি কিনতে গিয়ে অনেকেই ‘ওভার-লেভারেজ’-এর ফাঁদে পড়েন। যদিও ব্যাংক বা হাউজিং ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলি আয় অনুযায়ী বেশি ঋণ দিতে পারে, আনন্দের মতে মাসিক ইএমআই কখনও পরিবারের বাজেটকে অতিক্রম করা উচিত নয়।
5
11
স্টেপ-আপ ইএমআই বা পার্ট-প্রিপেমেন্ট মতো কাঠামোবদ্ধ পরিশোধের বিকল্পগুলো ব্যবহার করলে নগদ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
6
11
প্রথমবার বাড়ি ক্রেতাদের জন্য সরকারের বিভিন্ন স্কিম এখনও বড় সহায়ক। প্রধানমন্ত্রী আওয়াস যোজনা যোগ্য পরিবারগুলির জন্য একটি বড় সুযোগ।
7
11
এই প্রণোদনাগুলি বিশেষ করে নতুন ক্রেতাদের জন্য মালিকানা অর্জনকে আরও বাস্তবসম্মত করে তুলেছে,। ঋণদানের প্রক্রিয়া এখন আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়েছে, যাতে প্রথমবারের মতো ক্রেডিট ইতিহাস তৈরি করা ক্রেতারাও সহজে ঋণ পেতে পারেন।
8
11
বিশেষ করে মেট্রো শহরগুলোতে ভাড়া নেওয়া নাকি কেনা, এই প্রশ্ন আজও জটিল। বড় শহরগুলিতে গড় ভাড়া রিটার্ন মাত্র ২–৩%। ভাড়া নেওয়া নমনীয়তা দেয়, কিন্তু সম্পদ তৈরি করে না। যদি বাড়ি কেনার সামর্থ্য থাকে এবং সেই শহরে দীর্ঘ সময় থাকার পরিকল্পনা থাকে, তবে বাড়ি কেনা দীর্ঘমেয়াদে সম্পদ সৃষ্টির মাধ্যম।
9
11
বর্তমানে অনেক এলাকায় ইএমআই ও ভাড়ার অঙ্ক প্রায় কাছাকাছি, ফলে আগের মতো ভাড়া নেওয়া সবসময় সস্তা বিকল্প নয়।
10
11
উৎসবের সিজনে সাধারণত গৃহঋণ নেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এই বছরও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সুদের হারে ছাড়, প্রক্রিয়াজাত ফি মওকুফ ইত্যাদি অফার দিচ্ছে। মূল বিষয় হল আর্থিক শৃঙ্খলা—ভালো ক্রেডিট স্কোর ও স্থিতিশীল আয় বজায় রাখলে সবচেয়ে ভালো সুদের হার পাওয়া যায়।
11
11
গ্রাহকের স্বচ্ছ অভিজ্ঞতা, নিয়মিত আপডেট ও নির্ভরযোগ্য সেবাই লক্ষ্য। উৎসবের সময় পরিবারগুলো যেন আত্মবিশ্বাসীভাবে প্রথম বাড়ি কেনার পথে এগিয়ে যেতে পারে।