আজকাল ওয়েবডেস্ক: নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই বঙ্গে অনুভূত হচ্ছে শীতের আমেজ। বঙ্গে পারদ পতন শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। সকালের দিকে শহর থেকে জেলা সব জায়গাতেই হালকা শীতের আমেজ মিলছে।

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের পূর্বাভাস জারি করেছে মৌসম ভবন। তবে আগামী চার থেকে পাঁচ দিনে বাংলায় এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে বৃ্ষ্টির সেরকম সম্ভাবনা নেই। ফলে, আরও খানিকটা তাপমাত্রার পতন ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে জাঁকিয়ে শীত কবে থেকে পড়বে বঙ্গে? তারই লেটেস্ট আপডেট জানাল আবহাওয়া দপ্তর। সকালের দিকে ইতিমধ্যেই ঠান্ডার আমেজ ধরা পড়ছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।

সন্ধ্যা নামার পর থেকেও ধীরে ধীরে তাপমাত্রার পারদের পতন ঘটছে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী দিন পাঁচেক দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের না হলেও আবহাওয়া শুষ্ক হবে এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমবে।

তবে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আবহাওয়া পরিবর্তন হতে পারে। ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।

তবে এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় পড়তে নাও পারে। সকালের দিকে কলকাতার আকাশ পরিষ্কার। ভোরের দিকে হালকা কুয়াশার প্রভাবে দেখা গেলে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদ ঝলমলে আকাশ।

তাপমাত্রা তুলনায় কম থাকার জন্য আবহাওয়া মনোরম থাকবে। বৃষ্টিরও সম্ভাবনা নেই শহরে। অন্যদিকে, তাপমাত্রার পতন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও।

আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকায় রোদ ঝলমলে আকাশ এবং মনোরম আবহাওয়া। দার্জিলিং, কালিম্পঙের মতো পার্বত্য জেলাগুলিতে রীতিমত জাঁকিয়ে শীতের আমেজ। রাতের দিকে তাপমাত্রার পারদ ১৫ ডিগ্রির নিচে।

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নভেম্বর মাসের শুরু থেকে শীতের আমেজ দেখা যাচ্ছে বঙ্গে। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকায় কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শীতের পরিমাণ আরও বাড়বে।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার শহর কলকাতার সর্বোচ্চ ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।