মাত্র ২১ বছর বয়সে বিশ্ব সুন্দরীর পালক জুড়েছিল তাঁর মুকুটে। তারপর আর সাফল্য সঙ্গ ছাড়েনি। একের পর এক হিট ছবি থেকে বলিউডের ডিভা হয়ে ওঠেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। আজ ৫২ বছরে পা দিলেন প্রাক্তন মিস ওয়ার্ল্ড। সময় যতই গড়াক, তাঁর সৌন্দর্য যেন উল্টো দিকে ছুটছে! এখনও ঐশ্বর্যর নিখুঁত ত্বক, দীপ্তিময় চোখ আর শান্ত হাসি মুগ্ধ করে কোটি কোটি ভক্তকে। কিন্তু এই বয়সেও অভিনেত্রীর এমন তারুণ্য ধরে রাখার রহস্য কী?
জীবনের শেষ বসন্তের দিকে আরও এক ধাপ এগোলেও আজও যেন ঐশ্বর্য সুইট সিক্সটিন। আজও তাঁর ত্বকে আঁচড় কাটতে পারেনি বলিরেখা। এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্য জানিয়েছিলেন, তিনি ত্বকের যত্নে খুব সাধারণ একটা রুটিন মেনে চলেন। দনন্দিন জীবনের কিছু অভ্যাসই তাঁকে ত্বককে প্রাণবন্ত রেখেছে।প্রতিদিন ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে ঘুম থেকে ওঠেন অভিনেত্রী। দিনের শুরুতেই এক গ্লাস গরম জল ও লেবুর রস খান তিনি। যা শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে, হজমশক্তি বাড়ায় এবং ত্বকে এনে দেয় প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।
খাবারের ক্ষেত্রেও ঐশ্বর্য খুব সচেতন। তিনি ভারী বা তেলমশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলেন। বরং বেশি খেতে পছন্দ করেন ফল, শাকসবজি, দই, ডাল এবং ঘরে তৈরি হালকা খাবার। দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা অভিনেত্রীর অন্যতম নিয়ম। এর ফলে শরীর যেমন সুস্থ থাকে, তেমনই ত্বকও আর্দ্র ও দীপ্তিময় হয়।
শরীরচর্চার দিকেও ঐশ্বর্য যথেষ্ট মনোযোগী। প্রতিদিন কিছু সময় তিনি যোগাভ্যাস ও হালকা ব্যায়ামে ব্যয় করেন। তবে কখনওই অতিরিক্ত জিমে সময় কাটান না। ঐশ্বর্যের মতে, মানসিক শান্তি ও পর্যাপ্ত ঘুমই আসল ফিটনেসের চাবিকাঠি।
ত্বক ও চুলের যত্নে ঐশ্বর্য ঘরোয়া উপায়ের ভরসা রাথেন। তিনি মধু, দই, মেথি, অ্যালোভেরা, বেসনের মতো প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেন নিয়মিত। মেকআপের পরেও ত্বক পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার ও টোনার লাগাতে ভুলেন না।
সবচেয়ে বড় কথা, ঐশ্বর্য নিখুঁতভাবে নিজের পরিচ্ছন্নতা ও জীবনযাপনের শৃঙ্খলা বজায় রাখেন। তিনি বিশ্বাস করেন, সৌন্দর্য শুধু বাহ্যিক নয়, এটি মানসিক প্রশান্তি, শৃঙ্খল জীবনযাপন এবং আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন।তাঁর কথায়, “সৌন্দর্য মানে নিজের যত্ন নেওয়া, নিজের সঙ্গে শান্তিতে থাকা।” তাই হয়তো আজও ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের মুখে বয়সের ছাপ নেই, বরং প্রতিটি দিন যেন নতুন দীপ্তি এনে দেয় তাঁর সৌন্দর্যে।
