আজকাল ওয়েবডেস্ক: বহুরূপে মহেন্দ্র সিং ধোনি। প্রথম যখন খেলতে এসেছিলেন, তখন ছিল বড় চুল। তাঁর চুলের বাহার দেখে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ পর্যন্ত তাঁর ভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন।
বিশ্বকাপ জেতার পরে মাথা ন্যাড়াই করে ফেললেন। কয়েকবছর আগে আইপিএলের আগে এমন এক অবতারে ধরা দিলেন ধোনি, যে তাঁকে দেখেই অনেকে কুপোকাৎ। এবার আবার অন্য অবতারে ধরা দিলেন ২০১১-র বিশ্বজয়ী অধিনায়ক।
চোখে কালো চশমা, ছাঁটা চুল আর হালকা দাড়ি, এই মহেন্দ্র সিং ধোনিকে চেনা মুস্কিল। তাঁর হাসিতে এখনও সেই হাজার ওয়াটের আলো। তাঁকে দেখে সবাই ফিদা!
২০১৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের ওই হৃদয় বিদারক হারের পরে তাঁকে আর দেখা যায়নি দেশের জার্সিতে। আইপিএলে অবশ্য খেলে যাচ্ছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ধোনি মানেই জনস্রোত। ধোনি মানেই আবেগ। এই পড়ন্ত বেলাতেও ধোনি ছড়িয়ে দেন একমুঠো সোনালী রোদ্দুর।

এবার অবশ্য ক্রিকেটের জন্য ধোনি শিরোনামে আসেননি। অন্য এক কারণে ধোনি খবর হয়েছেন। বিয়ের এক অনুষ্ঠানে দাম্পত্য জীবনের পরামর্শ দিয়ে তিনি খবরের কেন্দ্রে। তাঁর পরামর্শ শুনে হাসির রোল উঠেছে। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সম্প্রতি এক বিয়ের অনুষ্ঠানে ধোনি উপস্থিত ছিলেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বর উৎকর্ষ সাংভি ও কনে ধ্বনি কানুনগোর পাশে দাঁড়িয়ে ধোনির পরামর্শ শুনে সবাই হেসেই কুটিপাটি। বিয়ের মঞ্চে উঠে ধোনি বলেছেন, ''কিছু লোক আগুন নিয়ে খেলতে পছন্দ করে, ও সেই দলে পড়ে।''
খেলার মাঠে দেখা যায় ধোনি শান্ত। হাসতেও দেখা যায় না। বিয়ের মঞ্চে ধোনির মন্তব্য শুনে সবাই হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছেন। ধোনি কিন্তু চুপ করে থাকেন না। তিনি বলে চলেন, '' বিশ্বকাপ জিতেছো কী জেতোনি সেটা বড় ব্যাপার নয়। বিয়ের পর সব স্বামীর অবস্থাই একই হয়।''
ধোনি বলে চলেন। থামেন না। অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন, ''যদি ভাবো, তোমার স্ত্রী বাকিদের থেকে আলাদা, তাহলে তুমি ভুল করছো!'' নতুন বর হাসতে হাসতে ধোনিকে বলেন, ''আমি জানি। আলাদ নয়।''
নব্য বরকে কেবল নয়, নববধূকেও ধোনি তাঁর অভিজ্ঞতা উজাড় করে দিয়েছেন। বিশ্বজয়ী অধিনায়ক বলেন, ''ঝগড়ার সময়ে কিন্তু কিছু বলতে যেও না। পুরুষরা পাঁচ মিনিটেই শান্ত হয়ে যায়। নিজেদের ক্ষমতা আমাদের জানা আছে।''
নবদম্পতিকে প্রাণভরে আশীর্বাদ করেছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। কেউ বলছেন, ‘ম্যারেজ কাউন্সেলর’ ধোনি। কেউ মনে করছেন, ধোনি অন্য ভূমিকাতেও সফল হতে পারতেন।
