আজকাল ওয়েবডেস্ক: নতুন টিম ইন্ডিয়ার সেরা প্রতিভা কে? যশস্বী জয়েসওয়াল, আকাশদীপ না অন্য কেউ? কিন্তু এদের কাউকেই বাছতে রাজি নন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন হেড কোচ রবি শাস্ত্রী। তাঁর ভোট নতুন টেস্ট অধিনায়ক শুভমন গিলের দিকে।
মাত্র ২৫ বছর বয়সেই পেয়ে গিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক টেস্ট সিরিজেই সাড়ে সাতশোর উপর রান করেছেন। হয়েছেন ম্যান অফ দ্য সিরিজ। গড় ছিল ৭৫.৪০। সর্বোচ্চ ২৬৯। জুলাই মাসে আইসিসির সেরা ক্রিকেটারের সম্মানও পেয়েছেন গিল। ইংল্যান্ডে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে শুভমান গিল নজর কেড়ে নিয়েছেন। শাস্ত্রী যেমন তাঁর প্রশংসা করছে, তেমনই সুরেশ রায়নার মতো প্রাক্তন ক্রিকেটার মনে করেন, শুভমান গিলের দরকার দুই মহাতারকা-রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পরে কোহলি ও রোহিত বিদায় জানিয়েছেন কনিষ্ঠ ফরম্যাটকে। ইংল্যান্ড সিরিজের আগেই টেস্ট ফরম্যাট থেকে অবসর গ্রহণ করেন রোহিত ও কোহলি।
আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ম্যাড ম্যাক্সের, এরকম একজন ক্রিকেটার থাকলে হারা ম্যাচও জেতা যায় ...
রায়না বলেন, “বিরাট কোহলি ও রোহিত শার্মার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ওদের থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুভমান গিল ভাল পারফরম্যান্স তুলে ধরেছে। তবে ওর সঙ্গে কোহলি-রোহিতের থাকার দরকার রয়েছে।''
শাস্ত্রী বলেই দিয়েছেন, গিল দীর্ঘসময় থাকতে এসেছে। শাস্ত্রীর কথায়, ‘''ও কিন্তু দীর্ঘদিন থাকতে এসেছেন। একেবারে কম্পোজড ক্রিকেটার। বয়স কম। এখনও অনেক ক্রিকেট বাকি গিলের মধ্যে।''
চলতি বছর গিল টেস্টে ২০ ইনিংসে করেছেন ১২৩৪ রান। গড় ৬৪.৯৪। শতরান ছয়টি। চলতি বছর টেস্টে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় ইংল্যান্ডের বেন ডাকেটের পরেই আছেন গিল। আর ভারতীয়দের মধ্যে গিলের পরেই আছেন লোকেশ রাহুল। তিনি ১৯ ইনিংসে করেছেন ৭৪১ রান। গড় ৪৬.৩১। দুটি শতরান রয়েছে। এরপরেই আছেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি করেছেন ৬০৫ রান। রয়েছে একটি শতরানও।
কোহলি-রোহিতদের হাতে রয়েছে কেবল ওয়ানডে ফরম্যাট। সেই ফরম্যাটে দুই মহাতারকার পাশে রায়না দেখতে চান মহম্মদ সিরাজকেও। ইংল্যান্ড জয় করে এসেছেন সিরাজ।
মহম্মদ সিরাজ ম্যাজিক দেখা গিয়েছে ওভালের শেষ দিনে। হায়দরাবাদির আগুনে স্পেলে ভারত সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনে। চতুর্থ দিনে হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ ফেলেছিলেন সিরাজ। সমালোচনা ধেয়ে এসেছিল তাঁর দিকে। প্রাক্তনদের তীব্র সমালোচনায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন সিরাজ। সেই সিরাজ প্রায়শ্চিত্ত করেন। ক্রিকেট বারবার সুযোগ দেয় না। এক বলের খেলা ক্রিকেট। সেখানে ক্রিকেট আরও একটা সুযোগ দিয়েছিল সিরাজকে। হায়দরাবাদি তারকা সেই সুযোগ দু'হাতে লুফে নেন। ওভালে নিজেকে নিংড়ে দেন। তিরিশ ওভার হাত ঘুরিয়ে পাঁচ-পাঁচটি উইকেট নেন। পঞ্চম দিনের শুরুতে উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সাজঘরে জোরালো ধাক্কা দেন। ইংল্যান্ডের শেষটাও হয় তাঁরই হাতে।
আরও পড়ুন: 'আফ্রিদি কুকুরের মাংস খেয়ে...', পাকিস্তানে গিয়ে বলেছিলেন পাঠান, তাজ্জব বনে গিয়েছিলেন সবাই
