আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা খেলার মাঠে একে অপরের তুমুল প্রতিপক্ষ। কিন্তু মাঠের বাইরে তাঁরাই নাকি খুব বন্ধু।
একসঙ্গে ঘুরতে যেতেন। একসঙ্গে খেতেন। ইরফান পাঠান শুনিয়েছেন এক মজার কাহিনি। এই কাহিনি পারস্পরিক কথার লড়াই। যে লড়াইয়ে শাহিদ আফ্রিদিকে হারিয়ে দিয়েছিলেন ইরফান পাঠান।
২০০৬ সালে পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল ভারতীয় দল। সেই সফরের গল্প শুনিয়েছেন পাঠান। তিনি বলেছেন, ''২০০৬ সালের সফরে আমরা করাচি থেকে লাহোর যাচ্ছিলাম। দুই দল একই ফ্লাইটে ছিল। আফ্রিদি আমার চুল এলোমেলো করে দিয়ে বলল, কেমন আছো বাচ্চা ছেলে? শিশুর মতো আচরণ করছিল আফ্রিদি।''
আফ্রিদিকে দারুণ জবাব দেন পাঠান। তিনি গল্প করছিলেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার আবদুল রজ্জাকের সঙ্গে। রজ্জাককে পাঠান বলেন, '' আমি রজ্জাককে জিজ্ঞাসা করলাম, পাকিস্তানে কোন ধরনের মাংস পাওয়া যায়। রজ্জাক আমাকে বিভিন্ন ধরনের মাংসের কথা বলে। আমি জানতে চাই, কুকুরের মাংস পাওয়া যায় কি না। রজ্জাক তা শুনে অবাক হয়ে গিয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করে, এরকম বলছো কেন?''
আরও পড়ুন: বীরুর পর বিস্ফোরক ইরফান পাঠানও, দল থেকে বাদ পড়ার ১৬ বছর পর কাঠগড়ায় তুললেন এই ক্রিকেটারকে
পাঠান জানান, “আফ্রিদি কুকুরের মাংস খেয়েছে। এই কারণেই ঘেউ ঘেউ করছে।'' পাঠানের এই কথা শুনে আফ্রিদি চুপ করে যান। কথা বলতে পারেননি। কথার লড়াইয়ে পাঠান সেদিন হারিয়ে দিয়েছিলেন আফ্রিদিকে।
রামধনুর মতো বাঁক খাওয়ানো সুইংয়ে পাকিস্তানের তারকা ব্যাটাররা কুপোকাত। ২০০৬ সালে করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সলমন বাট, ইউনিস খান ও মহম্মদ ইউসুফকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ইরফান পাঠান। তবুও সেটা নাকি তাঁর পছন্দের মুহূর্ত নয়। প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিক একমাত্র পাঠানই করেছেন। সেই রেকর্ড এখনও পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেননি।
কিন্তু স্মরণীয় মুহূর্তের ঝাঁপি খুলতে বসলে পাঠান অন্য পারফরম্যান্সের কথা তুলে ধরলেও করাচি টেস্টের প্রথম ওভারে হ্যাটট্রিকের প্রসঙ্গ টানেন না। কেন? বাঁ হাতি প্রাক্তন পেসার বলেন, ''পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওই হ্যাটট্রিক আমার জীবনের মোটেও স্মরণীয় মুহূর্তগুলোর মধ্যে পড়ে না। ওই ম্যাচ নিয়ে আমি বেশি কথাও বলি না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে আমি খুশি মনে কথা বলি। ২০০৪ সালে ১৯ বছর বয়সে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে আমি তিন উইকেট নিয়েছিলাম। সেটা অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত। সেই ম্যাচের কথা বলি আমি। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে পারথ টেস্টে ম্যাচের সেরা হয়েছিলাম। সেই ম্যাচ নিয়ে কথা বলি। কারণ ওই ম্যাচগুলোয় আমরা জিতেছিলাম।''
পাঠানের মতে, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে বলতে তখনই ভাল লাগে, যখন দল জেতে। তাঁর কথায়, ''যে ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলাম, সেই ম্যাচটা আমরা জিতিনি। মানুষের অবশ্য পছন্দ সেই ম্যাচ। ওই হ্যাটট্রিকের ভিডিও আমাকে পাঠান অনেকে। ওই তিন ব্যাটসম্যান কুড়ি হাজারের বেশি রান করেছিল। বল যেভাবে সুইং করছিল, তা দৃষ্টিনন্দন ছিল। সেই কারণেই ভক্তরা পছন্দ করেছিল ওই হ্যাটট্রিক।''
আরও পড়ুন: বিরাট ও রোহিত নোংরা রাজনীতির শিকার, বিস্ফোরক এই প্রাক্তন ক্রিকেটার...
