আজকাল ওয়েবডেস্ক: আরও একটি মাইলস্টোন ছুঁলেন শুভমন গিল। ঘরের মাঠে অভিষেক টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে অর্ধশতরান করলেন ভারত অধিনায়ক। আহমেদাবাদে দ্বিতীয় দিন এই নজির গড়েন তিনি। ১০০ বলে ৫০ রান করেন। তারমধ্যে ছিল ৫টি চার। ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় প্লেয়ার হিসেবে এই রেকর্ড করলেন গিল। এর ফলে সুনীল গাভাসকরকে ছুঁয়ে ফেললেন ভারতের টেস্ট অধিনায়ক। বহু বছর আগে এই কীর্তি স্থাপন করেন তিনি। ১৯৭৮ সালে অধিনায়ক হিসেবে ঘরের মাঠে টেস্ট অভিষেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২০৫ রান করেন সানি। নেতৃত্বের চাপ নিয়ে আরও একটি উল্লেখযোগ্য ইনিংস গিলের। লন্ডনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট অভিষেকে শতরান করেছিলেন। তারপর ঘরের মাঠেও শুরুতে অর্ধশতরান। ঘরের মাঠে অধিনায়ক হিসেবে দারুণ শুরু। ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত।
অন্যদিকে ব্যাট হাতে অনবদ্য কেএল রাহুল। ১১তম টেস্ট শতরানের পাশাপাশি ঘরের মাঠে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিলেন। নয় বছর পর হোম গ্রাউন্ডে একশো রান পান ভারতীয় ওপেনার। দুটো শতরানের মাঝে ২৬ ইনিংস অপেক্ষা করতে হয়। শেষবার ২০১৬ সালে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ১৯৯ রান করেছিলেন। ঘরের মাঠে এত দীর্ঘ সময় অপেক্ষা এর আগে তিনজন ক্রিকেটারকে করতে হয়েছে। তারমধ্যে সমচেয়ে লম্বা অপেক্ষা রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। ৩৬ ইনিংস অপেক্ষা করতে হয় তাঁকে। দিন হিসেবে অবশ্য এগিয়ে রাহুলই। ঘরের মাঠে দুটো শতরানের মাঝে ৩২১১ দিন কাটিয়ে ফেলেন তারকা ক্রিকেটার। যা দীর্ঘতম।
চলতি বছর লাল বলের ক্রিকেটে সেরা ছন্দে আছেন রাহুল। সাত ম্যাচে ৬৪৯ রান করেন। গড় ৫৪.০৮। তারমধ্যে রয়েছে তিনটে শতরান এবং দুটো অর্ধশতরান। সর্বোচ্চ রান ১৩৭। চলতি বছর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেরা ছন্দে ছিলেন। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হন। ১০ ইনিংসে ৫৩২ রান করেন। গড় ৫৩.২০। তারমধ্যে রয়েছে দুটো শতরান এবং দুটো অর্ধশতরান। এর আগে তাঁর সেরা পারফরম্যান্স ছিল ২০১৭ সালে। ৯ ম্যাচে ৬৩৩ রান করেন। গড় ৪৮.৬৯। তাতে ছিল ন'টি অর্ধশতরান। সর্বোচ্চ রান ৯০। নতুন পজিশনে দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছেন রাহুল। ইংল্যান্ড থেকেই ফর্মে আছেন। আহমেদাবাদেও তাঁকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে ভারতের ইনিংস। প্রথমে ব্যাট করে ১৬২ রানে অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে রানের পাহাড় গড়ছে ভারত। পেরিয়ে যায় ৪০০ রান। শতরান করেন ধ্রুব জুরেল।
