আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের নেপথ্য নায়ক তিনি। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা তাঁকে 'নীরব নায়ক' বলে উল্লেখ করেছেন। 

ভারতের মিডল অর্ডারে তিনিই দলকে নির্ভরতা জুগিয়েছেন। অথচ একদিন তাঁকে প্রত্যাখ্যাত হতে হয়েছিল। ব্যর্থতার তকমা পিঠে সেঁটে যাওয়ায় জাতীয় দল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন।  বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও সরে যেতে হয়েছিল। সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেই শ্রেয়স আইয়ার 'নীরব নায়ক' হিসেবে অবতীর্ণ হন।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে  পাঁচটি ইনিংসে শ্রেয়সের ব্যাট থেকে এসেছে ২৪৩ রান। দুটো হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। ফাইনালে মাত্র ২ রানের জন্য পঞ্চাশ করতে পারেননি শ্রেয়স। রোহিত ফিরে যাওয়ার পরে অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পার্টনারশিপ গড়েন তিনি। রোহিতের এহেন  প্রশংসা পাওয়ার পরে শ্রেয়সকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''এটা বড়  স্বীকৃতি। এক প্রকার সম্মান পাওয়াও বটে। মাঠে আমার প্রচেষ্টার জন্যই এই শ্রদ্ধা অর্জন করতে পেরেছি। যে ঘাম ঝরানো হচ্ছে, যে চেষ্টা করা হচ্ছে তা কিছু ক্ষেত্রে  নজরে আসে না।  কিন্তু মাঠে নেমে আমি যা করেছি, তার তার জন্য আমি সন্তুষ্ট। এই উইকেটে ব্যাট করা মোটেও সহজ কাজ ছিল না। যখন বোলাররা রান তোলার বিশেষ সুযোগ দেয় না, সেখানে সিঙ্গলস নেওয়াও খুব কঠিন হয়ে পড়ছিল। কিন্তু আমার মধ্যে এই বিশ্বাস ছিল যে দুটো ছক্কা মারতে পারলেই খেলার গতি নিজেদের অনুকূলে এনে ফেলতে পারব। আসল সময়ে আমি আমার কাজ করতে পেরেছি।''

টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান করায় রাচীন রবীন্দ্রর হাতে ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার উঠেছে। রানের দিক থেকে শ্রেয়স আইয়ার ঠিক রাচীন রবীন্দ্রর পরেই।

শ্রেয়স আইয়ার ছিলেন বলেই রোহিত-কোহলি ফিরে যাওয়ার পরেও ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে কাঁপুনি ধরেনি। শ্রেয়স বলছেন, ''আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নেমেছিলাম। যে কোনও পরিস্থিতিতে আমাকে ফেলো, আমি আমার কাজ করে আসবো। এই মানসিকতা কাজে লেগেছে। প্রত্যাখ্যান, ব্যর্থতা এই আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। ব্যর্থতাই সেরা শিক্ষক। কঠিন পরিস্থিতিতেই তা অনুভব করা যায়।''