আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাত ইনিংসে ৭৫২ রান করলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে ডাক পাননি করুণ নায়ার। বিজয় হাজারে ট্রফিতে স্বপ্নের ফর্মে তিনি। শচীন তেণ্ডুলকরের মতো কিংবদন্তিও করুণ নায়ারের প্রশংসা করেছেন। সেই করুণ নায়ারকে না নেওয়া প্রসঙ্গে মুখ্য নির্বাচক অজিত আগরকর বলেছেন, সবাইকে এই দলে সুযোগ দেওয়া সম্ভব নয়।
বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মাদের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার কথা বলে আসছেন প্রাক্তনরা। বোর্ডও ঘরোয়া ক্রিকেটের পক্ষে রায় দিচ্ছে। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে রান পেলেও জাতীয় দলের দরজা খুলল না করুণ নায়ারের জন্য। বাংলার উইকেট কিপার শ্রীবৎস গোস্বামী একহাত নিয়েছেন বোর্ডের এই নীতিকে। বিরাট কোহলির সঙ্গে ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত শ্রীবৎস ছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে। সেই তিনিই বলছেন, ''করুণ নায়ারকে নেওয়া হল না। এর অর্থ তোমরা নিজেরাই নিজেদের নিয়ম মানলে না। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা বাধ্যতামূলক তোমরাই করেছিলে। করুণ নায়ার দলে সুযোগ না পাওয়ায় ব্যথিত।''
শ্রীবৎস আরও বলেন, করুণ নায়ারকে ভারতীয় দলের সঙ্গে ট্র্যাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে নিয়ে যাওয়াই যেত। বঙ্গ উইকেট কিপার বলেছেন, ''সাতটা ম্যাচে ৭৫২ রানের মালিকের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করাই যেত। একজন অতিরিক্ত প্লেয়ার নিয়ে যাওয়াই যেত। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারত চারজন রিজার্ভ প্লেয়ার নিয়ে গিয়েছিল। ২০১৫ বিশ্বকাপে ধবল কুলকার্নিকেও ট্র্যাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অতিরিক্ত ওপেনার হিসেবে জয়সওয়াল? ষোড়শ সদস্য হিসেবে যোগ করাই যেত।''
শ্রীবৎস থেকে শুরু করে করে বাকিরা করুণ নায়ারের বাদ পড়া নিয়ে সোচ্চার। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সে সবে হেলদোল নেই। তারা নিয়ম করেন আবার সেই নিয়মের বিরুদ্ধাচরণ করে।
