আজকাল ওয়েবডেস্ক: যখনই দল বিপদে পড়েছে তখনই এগিয়ে এসেছেন তিনি। ২০২২ সালের বিজিটিতে তাঁর আর ওয়াশিংটনের পার্টনারশিপে ম্যাচে ফিরেছিল টিম ইন্ডিয়া। শেষবার ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে ইংলিশ বোলারদের মেরে ছাতু করে দিয়েছিলেন তিনি। ওয়ান ডে, টি-টোয়েন্টিতেও বারবার নিজের প্রতিভা মেলে ধরেছেন। একের পর এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে তাঁর নাম হয়েছে ‘লর্ড’ শার্দুল। তবে সম্প্রতি জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে ফেরার লড়াই চালাচ্ছেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে নিজেকে আবারও প্রমাণ করেছেন শার্দুল।
চোট কাটিয়ে ফেরার পর থেকে জাতীয় দলে সুযোগ না পেলেও তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে হরিয়ানার বিরুদ্ধে ছ’উইকেট নিয়েছেন তিনি। ঠাকুরের জন্য ভারতীয় দলে ফেরার দরজা পুরোপুরি বন্ধ না হলেও বর্তমান হেড কোচ গৌতম গম্ভীর তরুণ অলরাউন্ডার নীতীশ কুমার রেড্ডিকে সুযোগ দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া সফরে। ব্যাট হাতে রেড্ডি কার্যকর প্রমাণিত হলেও বল হাতে খুব বেশি এফেক্টিভ দেখায়নি তাঁকে।
অন্যদিকে, শার্দুল ঠাকুর আপাতত ভবিষ্যতের চিন্তা না করে মনোযোগ দিয়েছেন রঞ্জি ট্রফিতে। তবে জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ায় যে হতাশ হতে হয়েছে তা একবাক্যে তিনি স্বীকার করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ‘যখন দলে জায়গা হয় না, তখন স্বাভাবিকভাবেই হতাশা আসে। বিশেষ করে, যখন খেলা না থাকে এবং বাড়িতে বসে থাকতে হয়, তখন এই বিষয়ে আরও বেশি ভাবনা আসে।
তবে মাঠে নামলে শুধু ম্যাচের দিকেই মনোযোগ দিই। ক্লাব ক্রিকেট হোক, রঞ্জি ট্রফি, আইপিএল কিংবা ভারতের হয়ে খেলা, আমার কাছে সব ম্যাচই সমান’। চলতি রঞ্জি ট্রফি মরশুমে এখন পর্যন্ত ৩০টি উইকেট নিয়েছেন শার্দুল। শুধু বল হাতে নয়, ব্যাট হাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি। ন’ ইনিংসে ৪৪ গড় রেখে করেছেন ৩৯৬ রান। যার মধ্যে রয়েছে একটি সেঞ্চুরি এবং তিনটি হাফ-সেঞ্চুরি।
