আজকাল ওয়েবডেস্ক: টি২০ বিশ্বকাপ জয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। নেতা হিসেবে দুটো আইসিসি ট্রফি জিতেছেন রোহিত শর্মা। একটুর জন্য জেতা হয়নি ২০২৩ বিশ্বকাপ। ফাইনালে হেরে যেতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে।
২০২৪ সালে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে এসেছিল টি২০ বিশ্বকাপ জয়। ফাইনালের স্মৃতি এখনও ভেসে বেড়ায় রোহিতের চোখে।
ভাল শুরু করেও আচমকা চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। পরপর ফিরে যান রোহিত, ঋষভ ও সূর্যকুমার। ভারত তখন ৩৪/৩। ড্রেসিংরুমে রীতিমতো প্যানিক শুরু হয়ে গিয়েছিল রোহিতের। বিরাটের ইনিংস স্বস্তি দিয়েছিল তাঁকে। বাকিটা ইতিহাস। রোহিত বলেছেন, ‘রীতিমতো প্যানিক শুরু হয়ে গিয়েছিল আমার। অস্বস্তি হচ্ছিল। ভাবছিলাম এবারও হয়ত হল না।’
রোহিতের কথায়, কোহলির অভিজ্ঞতা ও দুর্দান্ত ইনিংস ড্রেসিংরুমে স্বস্তি এনে দিয়েছিল। ফাইনালে ৫৯ বলে ৭৬ করেছিলেন বিরাট। হয়েছিলেন ফাইনালের সেরা। রোহিতের কথায়, ‘এত বছর ভারতের হয়ে খেলছে বিরাট। তা সাহায্য করেছিল ওই সময়। তখন আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার ছিল। চিন্তাভাবনাকেও নিয়ন্ত্রণের দরকার ছিল। আমি নিশ্চিত বিরাটও সেটাই ভেবেছিল। মনে হয়েছিল, এই দিনটায় ফোকাসড থাকতে হবে। আগে কী হয়েছে ভুলে যাও। এরপরই কোহলি ওই দুর্দান্ত ইনিংসটা খেলেছিল।’
ফাইনালে অক্ষরও মোক্ষম সময়ে ছোট অথচ দামি ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন। রোহিতের কথায়, ‘অনেকেই অক্ষরের কথা ভুলে যায়। কিন্তু ওই ইনিংসটা অন্যতম সেরা ছিল। ৩১ বলে অক্ষরের ৪৭ রানের ইনিংস ভোলা যাবে না। চেয়েছিলাম এক জন ব্যাটার উইকেটে থাকুক। বিরাট সেটা পেরেছিল।’
বারবার তীরে এসে তরী ডুবেছে। রোহিত জানিয়েছেন, ‘বহুবার একেবারে সামনে এসেও ট্রফিটা পাইনি। যখন দক্ষিণ আফ্রিকার ৩০ বলে ৩০ দরকার। তখন দুর্দান্ত বল করেছিল বুমরা, হার্দিক ও অর্শদীপ। আর বাকিটা তো ইতিহাস হয়েই গিয়েছে।’
