আজকাল ওয়েবডেস্ক: রিয়েল কাশ্মীরের হেড কোচ ইশফাক আহমেদ এখন বোধহয় হাত কামড়াচ্ছেন। তাঁরা চুক্তিপত্র ধরিয়েছিলেন। কিন্তু রামসাঙ্গাই আর থাকতে চাননি রিয়েল কাশ্মীরে। সিদ্ধান্ত নিলেন জার্সির রং তিনি বদলাবেন। কাশ্মীর থেকে তাঁর নতুন ঠিকানা এখন লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ক্লাব। পিঠে উঠবে লাল-হলুদ জার্সি। একই সঙ্গে আই লিগ থেকে তাঁর উত্তরণ ঘটছে আইএসএলের পৃথিবীতেও।
আজ ইদ। বাড়িতে অতিথি আসছেন। ব্যস্ত ইস্ট-মোহনের প্রাক্তন ফুটবলার ইশফাক। ট্রেভর মর্গ্যান জমানায় ইশফাক উইংয়ে গতির ঝড় তুলতেন। সাহেব কোচ বলতেন, ''ইশফাক যতটা দূরত্ব অতিক্রম করে এবং যে ওয়ার্কলোড নেয়, তা অকল্পনীয়।'' আবার মোহনবাগানের ক্যাপ্টেন ছিলেন। সেই ইশফাক এখন রিয়েল কাশ্মীরের হেড কোচ। আজকাল ডট ইন-কে তিনি বলছেন, ''রামাসাঙ্গা হল কোচের প্লেয়ার। অর্থাৎ কোচ যা বলবে, ও তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। আমার সিস্টেমে ও দারুণ ফিট। আমি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে ওকে খেলাতাম।''

অগ্রজ ইশফাক কলকাতার ফুটবলকে হাতের তালুর মতো চেনেন। দুই প্রধানে খেলার সময়ে তিনি ভালবাসা পেয়েছেন অগাধ। অনুজ রামসাঙ্গার জন্য ইশফাকের পরামর্শ, ''শোনো, কলকাতার দর্শকরা ভালবাসাতে জানে। ওর ফুটবল সমঝদার। ভাল খেললে মাথায় নিয়ে ঘুরবে। খারাপ খেললে আবার গালমন্দও কপালে রয়েছে।''
এবারও রিয়েল কাশ্মীর তাঁকে রেখে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু রামসাঙ্গাই রিয়েলের চুক্তিতে সই করেননি। ইশফাক ভূযসী প্রশংসা করে বলছেন, ''খুব ভাল প্লেয়ার। ওকে নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। টেকিনক্যালি দারুণ দক্ষ। দুটো গোল করেছিল রিয়েল কাশ্মীরের হয়ে। বাঁ পাটা বেশ ভাল। একটা গোল দূরপাল্লার শটে। আরেকটা হেডে। অ্যাসিস্টও রয়েছে।''
তিন বছরের চুক্তিতে লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ক্লাবে আসছেন মিজো ফুটবলারটি। ইশফাক বলছেন, ''কোচ কীভাবে ওকে ব্যবহার করবেন, তার উপরে সব কিছু নির্ভর করছে। তবে ও নিরাশ করবে না, দেখে নেবেন।''
রামসাঙ্গাকে রাখতে না পারায় আপনি কি হতাশ? ইশফাকের চটজলদি মন্তব্য, ''ভাল প্লেয়ার হাতছাড়া হয়ে গেল। ওর জন্য শুভেচ্ছা রইল।''
