আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজস্থান রয়্যালসকে কোর্টে টেনে নিয়ে গেলেন এস শ্রীশান্ত। এক দশকেরও বেশি পুরোনো মামলা আবার স্পটলাইট দখল করে নিল। ২০১২ সালের কথা। জয়পুরে প্র্যাকটিস ম্যাচ চলাকালীন হাঁটুতে চোট পেয়ে আইপিএল থেকে ছিটকে যান শ্রীশান্ত। প্লেয়ারদের ৮.৭ কোটি টাকার বিমা করানো ছিল রাজস্থানের পক্ষ থেকে। তারমধ্যে থেকে ৮২ লক্ষ টাকা দাবি করে ফ্র্যাঞ্চাইজি। কারণ চোটের পর বাকি মরশুমে ছিটকে যান শ্রীশান্ত। কিন্তু ইনসুয়ারেন্স কোম্পানি বিষয়টিকে ভালভাবে নেয়নি। রাজস্থানের দাবি খারিজ করে দেয় ইউনাইটেড ইন্ডিয়ায় ইনসুয়ারেন্স কোম্পানি। উল্টে তাঁরা দাবি করে, ২০১১ সাল থেকে গোড়ালিতে চোট ছিল তারকা পেসারের। পলিসিতে তার উল্লেখ নেই। বরং, তাঁদের দাবি, আগের চোটের জন্যই আইপিএল থেকে ছিটকে যান শ্রীশান্ত। এই মামলা ন্যাশনাল কনজিউমার ডিসপুট রিড্রেসাল কমিশনে পাঠানো হয়। তাঁরা ইনসুয়ারেন্স কোম্পানিকে বিমার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তাঁরা।
কোর্টে রাজস্থানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গোড়ালির চোট তাঁকে ম্যাচের বাইরে রাখেনি। দাবি করা হয়, হাঁটুর চোটের জন্য তিনি গোটা মরশুম থেকে ছিটকে যান। জানানো হয়, বিমার সময় সমস্ত ফিটনেস সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয়েছিল। আইনজীবী বিক্রম নাথ এবং সন্দীপ মেহতা প্রশ্ন করেন, গোড়ালির চোটের কথা আগে থেকে জানানো হয়েছিল কিনা। জানানো হয়, আগে থেকে ইনসুয়ারেন্স কোম্পানি গোড়ালির চোটের কথা জানলে, তাঁরা বিমা কভারেজ নাও দিতে পারত। বা আরও বেশি টাকার প্রিমিয়াম নিতে পারত। বর্তমানে সমস্যার সমাধান হয়নি। ইনসুয়ারেন্স কোম্পানিকে শ্রীশান্তের ফিটনেস সার্টিফিকেট, পলিসির আসল কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। ততদিন পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান সূত্র পাওয়া যাবে না। তবে আশার আলো দেখছে রাজস্থান রয়্যালস।
সম্প্রতি কয়েকদিন আগে বিরাট কোহলিকে নিয়ে মন্তব্য করেন তারকা পেসার। ইউ টিউব চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে তারকা ক্রিকেটারের খেলার স্টাইল এবং নিজের কেরিয়ার নিয়ে অকপট শ্রীশান্ত। কোহলির সঙ্গে ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। তিনি মনে করেন, প্লেয়ার হিসেবে সাফল্য পেতে কোহলির আগ্রাসন খুবই জরুরি। জানান, আগ্রাসী মনোভাবের সঙ্গে প্যাশনও রয়েছে। শ্রীশান্ত বলেন, 'অনেকে যেটাকে আগ্রাসন বলে, আমি সেটাকে প্যাশন বলি। বিরাট কোহলি কি আগ্রাসী? আমার মনে হয়, ও ক্রিকেটের মধ্যে ডুবে যায়। সবাই বলে ওর প্রচণ্ড আগ্রাসী মনোভাব। আমার মনে হয়, সেটা কমে গেলে, ও আর একই প্লেয়ার থাকবে না।' ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের পর দুই ক্রিকেটারের কেরিয়ার পথ বদলে গিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে টেস্ট অভিষেক হয় কোহলির। শ্রীশান্ত সেই সফরে অংশ নেননি। ২০১১ সালে ভারতের হয়ে শেষ টেস্ট খেলেন তারকা পেসার। প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। সেখানে নতুন উচ্চতায় উঠতে শুরু করেন বিরাট।
